৫ ওয়াক্ত সলাতের রূপায়ণ :
৫ ওয়াক্ত সলাতের রূপায়ণ :
দিনে রাতে মোট ৫টি সময়ের নামের সাথে সলাতের সম্পৃক্ততা লক্ষ্যণীয়। যেমন সূর্য মাথার উপর স্থির হলে আমরা বলি ঠিক দুপুর । হেলে পড়লে আরবীয় দেশে বলে দুলুকেস সামস এই সময়ে সলাত আদায়ের পর একটু রেস্ট বা কায়কুলা করা হয়। কায়কুলা বিষয়টিও কুরআনে আছে ।
আল্লাহ্ বলেন:
সূর্য হেলিয়া পড়িবার পর হইতে রাত্রির ঘন অন্ধকার পর্যন্ত সালাত কায়েম করিবে (যোহর, আসর, মাগরিব, এসব) এবং কায়েম করিবে ফজরের কুরআন (সালাত)। নিশ্চয়ই ফজরের কুরআন /সালাত সাক্ষী উপস্থিতির সময়।
اَقِمِ الصَّلٰوةَ لِدُلُوْكِ الشَّمْسِ اِلٰى غَسَقِ الَّيْلِ وَقُرْاٰنَ الْـفَجْرِؕ اِنَّ قُرْاٰنَ الْـفَجْرِ كَانَ مَشْهُوْدًا
সূরা নম্বর: ১৭ আয়াত নম্বর: ৭৮
এবং রাত্রির কিছু অংশে তাহাজ্জুদ কায়েম করিবে, ইহা তোমার এক অতিরিক্ত কর্তব্য। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করিবেন প্রশংসিত স্থানে।
وَمِنَ الَّيْلِ فَتَهَجَّدْ بِهٖ نَافِلَةً لَّكَ ۖ عَسٰۤى اَنْ يَّبْعَـثَكَ رَبُّكَ مَقَامًا مَّحْمُوْدًا
সূরা নম্বর: ১৭ আয়াত নম্বর: ৭৯
তুমি সালাত কায়েম কর দিবসের দুইটি অংশে (যোহর, আসর) ও রজনীর প্রথমাংশে (মাগরিবের সলাত)। সৎকর্ম অবশ্যই অসৎকর্ম মিটাইয়া দেয়। যাহারা উপদেশ গ্রহণ করে, ইহা তাহাদের জন্য এক উপদেশ।
وَاَقِمِ الصَّلٰوةَ طَرَفَىِ النَّهَارِ وَزُلَـفًا مِّنَ الَّيْلِ ؕ اِنَّ الْحَسَنٰتِ يُذْهِبْنَ السَّيِّاٰتِ ؕ ذٰ لِكَ ذِكْرٰى لِلذّٰكِرِيْنَ ۚ
সূরা নম্বর: ১১ আয়াত নম্বর: ১১৪
তিনটি সময় পর্দার উল্লেখ করতে মহান আল্লাহ তিনটি সময় তথা সলাতের নামের উল্লেখ করেছেন , যেমন আমরা বলে থাকি যোহরের পরে আসবেন , অর্থাৎ যোহরের সলাতের পরে আসবেন , আয়াত কি বলে দেখুন;
হে মু’মিনগণ! তোমাদের মালিকানাধীন দাস - দাসিগণ এবং তোমাদের মধ্যে যাহারা বয়ঃপ্রাপ্ত হয় নাই তাহারা যেন তোমাদের কক্ষে প্রবেশ করিতে তিন সময়ের অনুমতি গ্রহণ করে, ফজরের সালাতের পূর্বে, দ্বিপ্রহরে যখন তোমরা তোমাদের পোশাক খুলিয়া রাখ তখন এবং ‘ইশার সালাতের পর; এই তিন সময় তোমাদের গোপনীয়তার সময়। এই তিন সময় ব্যতীত অন্য সময়ে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করিলে তোমাদের জন্য এবং তাহাদের জন্য কোন দোষ নাই। তোমাদের এক - কে অপরের নিকট তো যাতায়াত করিতেই হয়। এইভাবে আল্লাহ্ তোমাআদের নিকট তাঁহার নির্দেশ সুস্পষ্টভাবে বিবৃত করেন। আল্লাহ র্সবজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
يٰۤـاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا لِيَسْتَـاْذِنْكُمُ الَّذِيْنَ مَلَكَتْ اَيْمَانُكُمْ وَالَّذِيْنَ لَمْ يَـبْلُغُوا الْحُـلُمَ مِنْكُمْ ثَلٰثَ مَرّٰتٍؕ مِنْ قَبْلِ صَلٰوةِ الْفَجْرِ وَحِيْنَ تَضَعُوْنَ ثِيَابَكُمْ مِّنَ الظَّهِيْرَةِ وَمِنْۢ بَعْدِ صَلٰوةِ الْعِشَآءِ ؕ ثَلٰثُ عَوْرٰتٍ لَّـكُمْ ؕ لَـيْسَ عَلَيْكُمْ وَ لَا عَلَيْهِمْ جُنَاحٌۢ بَعْدَهُنَّ ؕ طَوّٰفُوْنَ عَلَيْكُمْ بَعْضُكُمْ عَلٰى بَعْضٍ ؕ كَذٰلِكَ يُبَيِّنُ اللّٰهُ لَـكُمُ الْاٰيٰتِ ؕ وَاللّٰهُ عَلِيْمٌ حَكِيْمٌ
সূরা নম্বর: ২৪ আয়াত নম্বর: ৫৮
আবার গুরুত্ব বুঝাতে আল্লাহু তায়ালা সময়ের বা ওয়াক্তের কসম করেছেন , যেমন ;
শপথ ফজরের, وَالْفَجْرِۙ
সূরা নম্বর: ৮৯ আয়াত নম্বর: ১
শপথ আছরের, وَالْعَصْرِۙ
সূরা নম্বর: ১০৩ আয়াত নম্বর: ১
উপরে উল্লেখিত ৫টি সময়ের মাঝে যে সময়টি সেই মধ্যম সলাতের নাম সালাতুল ওসতা যাকে আমরা আছরের সলাত বলি । আয়াত দেখুন :
তোমরা সালাতের প্রতি যত্নবান হইবে, বিশেষত মধ্যবর্তী সালাতের এবং আল্লাহ্র উদ্দেশে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াইবে;
حَافِظُوْا عَلَى الصَّلَوٰتِ وَالصَّلٰوةِ الْوُسْطٰى وَقُوْمُوْا لِلّٰهِ قٰنِتِيْنَ
সূরা নম্বর: ২ আয়াত নম্বর: ২৩৮
মোট কথা কোন সলাত কখন কিভাবে পালন করতে হবে সে গুলো শিখিয়েছেন মহান আল্লাহ তাঁর রাসুলকে, আর রাসূল শিখিয়েছেন তার সাহাবীদেরকে যা আমরা জানতাম না। আয়াত দেখুন :
যদি তোমরা আশংকা কর তবে পদচারী অথবা আরোহী অবস্থায় সালাত আদায় করিবে। আর যখন তোমরা নিরাপদ বোধ কর তখন আল্লাহ্কে স্মরণ করিবে, যেভাবে তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দিয়াছেন, যাহা তোমরা জানিতে না।
فَاِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا اَوْ رُكْبَانًا ۚ فَاِذَآ اَمِنْتُمْ فَاذْکُرُوا اللّٰهَ کَمَا عَلَّمَکُمْ مَّا لَمْ تَكُوْنُوْا تَعْلَمُوْنَ
সূরা নম্বর: ২ আয়াত নম্বর: ২৩৯
এই রকমই আরেকটি আয়াত:
তোমার প্রতি আল্লাহ্র অনুগ্রহ ও দয়া না থাকিলে তাহাদের একদল তোমাকে পথভ্রষ্ট করিতে চাহিতই। কিন্তু তাহারা নিজেদেরকে ব্যতীত আর কাহাকেও পথভ্রষ্ট করে না এবং তোমার কোনই ক্ষতি করিতে পারে না। আল্লাহ্ তোমার প্রতি কিতাব ও হিকমত অবতীর্ণ করিয়াছেন এবং তুমি যাহা জানিতে না তাহা তোমাকে শিক্ষা দিয়াছেন; তোমার প্রতি আল্লাহ্র মহা অনুগ্রহ রহিয়াছে।
وَلَوْلَا فَضْلُ اللّٰهِ عَلَيْكَ وَرَحْمَتُهٗ لَهَمَّتْ طَّآٮِٕفَةٌ مِّنْهُمْ اَنْ يُّضِلُّوْكَ ؕ وَمَا يُضِلُّوْنَ اِلَّاۤ اَنْفُسَهُمْ وَمَا يَضُرُّوْنَكَ مِنْ شَىْءٍ ؕ وَاَنْزَلَ اللّٰهُ عَلَيْكَ الْكِتٰبَ وَالْحِكْمَةَ وَعَلَّمَكَ مَا لَمْ تَكُنْ تَعْلَمُؕ وَكَانَ فَضْلُ اللّٰهِ عَلَيْكَ عَظِيْمًا
সূরা নম্বর: ৪ আয়াত নম্বর: ১১৩
তাই রাসূল যে ভাবে সলাত নামের আনুষ্ঠানিক ইবাদত শিক্ষা দিয়েছেন, সেইভাবেই সেই সময় থেকেই, সেই সময় অনুযাহি চালু আছে এই বিশ্বাস আছে বলেই দুনিয়ায় সবখানে একই রকম ভাবে সলাত জারি আছে।
আয়াত দেখুন :
যখন তোমরা সালাত সমাপ্ত করিবে তখন দাঁড়াইয়া, বসিয়া এবং শুইয়া আল্লাহ্কে স্মরণ করিবে, যখন তোমরা নিরাপদ হইবে তখন যথাযথ সালাত কায়েম করিবে ; নির্ধারিত সময়ে সালাত কায়েম করা মু’মিনদের জন্য অবশ্যকর্তব্য।
فَاِذَا قَضَيْتُمُ الصَّلٰوةَ فَاذْكُرُوا اللّٰهَ قِيَامًا وَّقُعُوْدًا وَّعَلٰى جُنُوْبِكُمْ ۚؕ فَاِذَا اطْمَاْنَنْتُمْ فَاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ ۚ اِنَّ الصَّلٰوةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ كِتٰبًا مَّوْقُوْتًا
সূরা নম্বর: ৪ আয়াত নম্বর: ১০৩
Comments
Post a Comment