Posts

কুরআনে উল্লেখিত আকল বলতে কি বুঝায় ?

Image
আকল - বিবেক আকল সমৃদ্ধ মানুষঃ যারা প্রকৃত কারন খুজে বের করে, / যারা সঠিক বিষয়টি খুজে বের করে, / যাদের জ্ঞ্যান আছে/ যারা জ্ঞ্যানি/ যারা বুঝতে পারে/ যারা বিবেচনা করতে পারে / এক কথায় বাস্তব জ্ঞ্যানী বা বুদ্ধিমান সম্প্রদায় ।আকল এর গুনে = জ্ঞ্যানের এর ভাল মন্দ প্রকাশ পায়, বিশ্বাস বা ঈমান দুর্বল বা সবল হয় । ব্যরিস্টার সুমনের জ্ঞ্যান এবং উকিলের আকলের গল্প গ্রামের এক গরীব কৃষকের মেধাবী ছেলে সুমন । স্কুলের বেতন, পরীক্ষার ফি থেকে শুরু করে সব কিছুতেই সবাই সাহায্য করে । এভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় পেরিয়ে লন্ডনে ব্যারিস্টারি পড়ার সুযোগ পায় । জমি বিক্রি করে ও গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সে পড়ালেখা শেষ করে ঢাকা ফিরে । অসম্ভব মেধাবী হওয়ায়, ভাল রেজাল্ট করায়, ঢাকায় ফিরেই লন্ডনে পরিচিত ব্যরিস্টার বরকতের মেয়ে ব্যরিস্টার লিপ্সাকে বিয়ে করে ফেলে । সব কিছু মিলিয়ে সমন আর সেই সুমন নেই । মুল ঘটনা হলঃ আমাদের দেশে গ্রামে গ্রামে দাঙ্গা-হাঙ্গামা নতুন কিছু নয়। সুমন সাহেবদের গ্রামের সাথে পাশের গ্রামের দাঙ্গায় উভয়পক্ষেই খুনের ঘটনা ঘটেছে । গ্রামের সবাই ভাবল সুমনের কথা, ঢাকা এলো, কথা হোল, অনেক কথার পর ২ লক্ষ টাকার মধ্যে কেস লড়বেন

শয়তানের পায়ে পায়ে চলিও না / শয়তানের ইত্তেবা করিও না

Image
শয়তান মানুষের স্বঘোষিত, বাস্ত্‌ব, আসল দুশমন । আমারা কত বইপত্র পড়ি, মারেফাত, সূফীতত্ত্ব, পিরতন্ত্র ইত্যাদি পড়ে রিপুর সন্ধান পাইঃ রিপু আমাদের নফসের শত্রু । তবুও বলি না আমার নিজের শত্রু আমি নিজেই । রিপুকে আমাদের শত্রু হিসেবে চিনেছি কিন্তু শয়তান যে আমাদের স্বঘোষিত দুশমন তা ভুলেই গেছি । অধিকাংশ তন্ত্রে মন্ত্রে তরিকতে ৬ রিপুর কথা আমরা জানি -তা হলঃ যে গুলো মূলতঃ শয়তানের ফাঁদ যা কুরআন বিভিন্ন ভাবে আমাদের সাবধান করেছে । ১। কামনা – লালসা / মোহ / কাম (lust/ Desire) ২। ক্রোধ = রোষ/ উত্তেজনা ( anger/passion) ৩। লোভ = লিপ্সা/ লালসা/ (cupidity/ ) ৪। মোহ = মায়া / বিভ্রম - (illusion) ৫। দম্ভ = মদ/অহংকার/আত্মগৌরব – (arrogance) ৬। দ্রোহ = বিদ্বেষ /পরশ্রীকাতরতা। - (Envy / hostality) এসব বিষয়গুলো বিভিন্ন বইতে এমন ভাবে বর্ণনা যে শয়তানের কোন দোষ নাই, সব রিপুর তাড়না । আসলে শয়তানই যে এ গুলোর ধারক বাহক। রিপু অর্থ মানুষের শত্রু । আর কুরআন বার বার কত সহজভাবে আমাদের শত্রু শয়তানকে চিনিয়ে দিচ্ছে । আল্লাহ কুরআন মাজিদে আমার জানামতে প্রায় ৮৮ স্থানে বিভিন্ন ভাবে শয়তানের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন । এই শয়তানের চর

রাসুল সাঃ এর শীনা চাক আসলে কি ভাবে হয়েছিল? সুদুরে কি হয়?

Image
সদর / সুদুর (বক্ষদেশ) এ লেখাটি পড়লে জানতে পারবেন আমাদের প্রিয় রাসুল সাঃ এঁর সীনা বা সদর বা বক্ষচ্ছেদ হয়েছিল কি ভাবে । আরও জানতে পারবেন, সুদুর কি এবং কিভাবে সুদুরে শয়তান ওসঅয়াসা বা সুরসুরি দেয় । সদর / বক্ষ (CHEST)ঃ একবচনে সদর – বক্ষ, বুক, অন্তর, হৃদয়, বহুবচনে সুদুর - বক্ষসমুহ, বুকসমুহ, অন্তরসমুহ, হৃদয়সমুহ । صَدْر সদর বা সুদুর কুরআনে অনেক স্থানে এসেছে, ব্যবরিত হয়েছে বক্ষের সাথে যা আছে তাকে উদ্দ্যেশ করে । আর বক্ষের মধ্যেই যেহেতু শারীরিক এবং অশারিরিক বস্ত গুলো লুকানো আছে । তাই এই কথাটিকেই আল্লাহ বার বার বলেছেনঃ আল্লাহ জানেন তোমাদের সুদুরে সাথে ( بِذَاتِ ) কি আছে । বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের মনে যা কিছু উদ্ভব হয় তার রক্ষনা বেক্ষন করার দায়িত্তে আছে সুদুর নামের এক ধরনের তীক্ষ্ণ জ্ঞ্যানী সুরক্ষা ব্যবস্থা । অর্থাৎ সুদুর হচ্ছে কল্বের সুরক্ষা ব্যবস্থা, যেমন প্রাকৃতিক ঠাণ্ডা গরম আগুন বাতাস থেকে চর্ম আমাদের রক্ষা করে। ত্বকে কোন কিছু অনুভুত হলে তা আমাদের অনুভুতি শক্তির মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে বা মনে সংবাদ পাঠাই, মন সে ভাবে ব্যবস্থা নেয়, বুদ্ধি দিয়ে দেহকে আদেশ করে । একই ভাবে শয়তান যখনই কল্বের মধ্যে

Hardware and Software of a Human being . মানব দেহের দৃশ্যমান অদৃশ্যমান অঙ্গ এবং প্রভাবক শয়তান

Image
এই মানব দেহ নামক সিস্টেম চালানোর ম্যানুয়ালের নাম আল-কুরআন । পাওয়ার যিনি দিয়েছেন তিনিই পাওয়ার অফ করবেন । কিন্তু নফস যদি চায় সেলফ অফ করবে তবে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার মিলে নিজের পয়াওয়ার নিজেই অফ করতে পারে । যা নিষেধ । যত ধরনের ভাল কাজ আছে তা প্রেসিডেন্ট করবে এই মর্মে সে নির্দেশিত । কিন্তু তার চির শত্রু এবং বহিস্তঃ দেহ তথা দুনিয়ার লোভ, দেহের চাহিদা ইত্যাদির কারনে রুহের আদেশ ভুলিয়া শয়তানের লোভনীয় ফাঁদে পরে সুদুরের মাধ্যমে প্রথমে কলব এবং পরে রূহ কে প্রভাবিত করে পুরো সিস্টেম কে ভুল পথে নিয়ে যায় । রূহ যদি ছোট খাটো বিপদে পরে তৌবা করে ফিরে আসে তবেই রক্ষা, না হলে চির তরে ক্ষতিগ্রস্থ । ***********************নফস********************* মানব দেহ একটি রাজ্য, এই রাজ্যের বাদশার নাম রূহ ।এই রাজ্য ও বাদশার সৃষ্টি কর্তা, পালন কর্তা আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তায়ালা । এই রাজত্তের নাম নফস । এই নফস নামক রাজত্তের রূহ নামক বাদশার অনেক ক্ষমতা । সে তার রাজ্যে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে, কিন্তু আল্লাহ যা চাহেন । অর্থাৎ তার দৈনন্দিন কর্ম সমুহ দেখা হয়, এবং রিপোর্ট প্রতিমুহূর্তে লেখা হয় । কিন্তু এই নফসের র

what is Nafs ? নাফস কি?

Image
কুরআন মাজিদে “নাফস” শব্দটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে? যদি নাফস বলতে আত্মা বা রূহ কে বুঝে থাকেন, তবে লেখাটি পড়ুন । আশাকরি এই লেখাটি পড়ার পর আপানি নফস কে চিনতে পারবেন এবং আমাদের আদি শত্রু শয়তান সমন্ধে সাবধান হতে পারবেন । বিসমিল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়াসসালাতু ওয়াসসালামু ‘আলা রাসুলিল্লাহি ।{আমি মানুষ সৃষ্টি করিয়াছি, তাই তো আমি অবহিত আছি ওদের নিজেদের অসৎ চিন্তা সম্পর্কে, আমরা তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী (৫০:১৬) । পরের আয়াতেই আছে দুই কাধের দুই লিখকের কথা । ১১৪:৫> তার (শয়তানের) অনিষ্ট থেকে, যে অনবরত মানুষের বা নফসের সুদুরে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্নগোপন করে ।} কিছু লোক মনে করেন যে "নাফস" শব্দটি কুরআনে প্রায়শই ব্যবহৃত হয় যার অর্থ করা হয় "আত্মা", মন, অন্তর । যা মোটেও সঠিক নয়। আবার, অনেকে নাফস বলতেই বলেনঃ নফসের ধোঁকা, কামনা, খায়েস, পশুর ন্যায় হিংস্র ; আত্মা বলতেই নাফসে মুত্মাঈন্না, নাফসে আম্বারা, নাফসে লাওয়ামা ইত্যাদি । এই বিভ্রান্তি গুলি অনেক অনুবাদক তাদের প্রকাশিত বাংলা অনুবাদে, তাফসীরে এমন কি ইংরেজী অনুবাদেও করে ফেলেছেন । "আত্মা" (রূহ)

কল্ব - মস্তিস্ক - শয়তান

Image
কল্ব - মস্তিস্ক - শয়তান ২:৯৭> সে (জিব্রাঈল) আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় এই কোরআন তোমার কল্বে অবতীর্ন করিয়াছে............ অর্থাৎ কলব হচ্ছে মন, যেমন আমরা বলি মনে নেই, বা মনে আছে । যেখানে কোন বিষয় জমা থাকে । যখন খুশি বের করা যায় বা যায় না । এই যখন খুশিটা বা ইচ্ছাটা পরিপার্শ্বিক অবস্থার সাপেক্ষে কল্বের বুদ্ধিতে সাহায্য কারী এলেম, আকল আফ্যেদা, হাওয়া , সুদুর এরা কাজ করে মজবুত ভাবে । এই এলেম বা জ্ঞ্যান এর স্নায়ুবিক যোগাযোগ মাথা বা মস্তিকের সাথে। অথাৎ মনজগতের সাথে স্নায়ুবিক বা ইন্দ্রিয় তথা মস্তিকের অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রয়েছে। যেমন মদ পান করে মাতাল হলে সে যে আচরন করে তা তার জ্ঞ্যান দ্বারা করে না, স্নায়ুবিক বা ইন্দ্রিয় তথা মস্তিকের শারীরিক অভিজ্ঞতা করতে থাকে, যে চিন্তা গুলো, কাজ গুলো সে আগে করেছে বা ভেবেছে । বলা যায়, মাথা বা মস্তিস্ক হোল কলব বা মনের কারখানা বা ফ্যাক্টরি । মন যা চাইবে কারখানা সাদ্ধ্যমত তাই বানাবে বা করবে । যেমন চোর চুরি করে ধরা পরে, কিন্তু পিটিয়ে মরনাপন্ন করলেও মনের দরজা খুলে না, বলে না । কারন সে বুঝতে পারে, বিভিন্ন ভাবে ভনিতা করে সময় পার করে কেউ না কেউ দয়া করে উদ্ধার করবে অথবা

ফুয়াদা/ আফঈদা বা বুদ্ধিমত্তা

Image
ফুয়াদা/ আফঈদা বা বুদ্ধিমত্তা Intellect/Intelligence/ Perception/ মানসিক মেধা, যে জ্ঞ্যানে কোন সন্দেহ থাকে না, দিব্ব্যজ্ঞ্যান (clear conception) । বিভিন্ন ভাযায় কুরআন মাজিদের অনুবাদ সমুহে এই ফুয়াদা / আফঈদাকে অন্তর , হার্ট (Heart) বলা হয়েছে, কলবকেও অন্তর বা মন বলা হয়েছে, সুদুরকেও অন্তর বা মন বলা হয়েছে। আবার আকল কে Intellect বা বুদ্ধিমত্তা বলা হচ্ছে যা পাঠককে মুল অর্থ অনুধাবনে অনেক অনেক দূরে ঠেলে দিচ্ছে মুল ভাবার্থ থেকে । আল্লাহু রাব্বুল আলামিন তার কালামে ফুয়াদা, আফঈদা, কলব, আকল, ইল্ম, সুদুর, রূহ ইত্যাদি যেখানে যে ভাবে ব্যবহার করেছেন আমাদের কে সে ভাবেই বুঝতে হবে । কলব মানে অন্তর ফুয়াদা বা বহুবচনে আফঈদা মানেও অন্তর কিভাবে হয় ? আমরা আসলে আছি কোন পথে ? এই অনুসন্ধানি অধ্যায়টি পড়ুন, নিজের ধারনা কে মজবুত করুন, কুরআন কে নিয়ে গবেষণা করুন । মানুষ যখন কঠিন সিন্ধান্তের সম্মুখীন হয় তখন কি করে? নিজে সিন্ধান্ত নিতে অপারগ হলে জানা লোকের নিকটে যায়, পরামর্শ করে, বুদ্ধি ণেয় ।আফঈদা এইরকমই এক উচ্চমাত্রার জ্ঞ্যানের আধার । যা দ্বারাঃ ভালকরে অনুধাবন করা যায়, সঠিক ধারনা করা যায়, ভালো মন্দ চেনা যায়, সঠিক সিদ