দুই ঈদের আনুষ্ঠানিকতা
২:২৮৫ শেষ অংশে সংখ্যা পূরনের পর অর্থাৎ রমজান মাসের সিয়াম শেষ করার পর, আল্লাহ যে হেদায়েতের পথ দেখিয়েছেন (mahadakum ) তার জন্য আল্লাহর বড়ত্ব/ মহত্ত্ব প্রকাশ করো (tukabbirullaha )এবং তার শুকরিয়া বা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর (taskurun) যে ভাবে তোমাদেরকে শেখানো হয়েছে (la allakum) অর্থাৎ রাসুলের মাধ্যমে যে শুকরিয়া প্রকাশের তাকবির সমুহ পেয়েছি , মাস পূর্ণ করে যে ঈদ অনুষ্ঠান করি , অতিরিক্ত তাকবির বলি ।
এর সাথে ২২:৬৮- mansakan এবং ৫:৫৮- এর manhaza ও shariya অনুধাবন করা যেতে পারে ।
একই সূত্রে ২:১৮৫ এর শেষ আয়তাংশের wa li tukabirullaha ala ma hadakum এই একই বিধান রয়েছে ২২:৩৭ আয়াতে । অর্থাৎ দুই ঈদের বা উৎসবের দিনের ,( iyaomul jinat ২০:৫৯) করণীয় আমাদের রাসূল ছাড়া আর কেহই দেখাতে পারেন কি ।
কুরবানীর ঈদ শুধু কি হাজীদের না কি সবার ?
এর জবাবও কুরআনই আছে । দেখুন :
২২:২৬ থেকে ৩৩ পর্যন্ত (একটি অনুচ্ছেদ বা রুকু ) যারা বায়তুল্লাহ তে হজ্জে গেছেন তাদের জন্য নির্ধারিত । আর,
২২:৩৪ থেকে ৩৮ পর্যন্ত (একটি অনুচ্ছেদ বা রুকু ) প্রত্যেক জাতির জন্য পশু কুরবানীর অনুষ্ঠান বা মুসলিমদের ঈদুল আযহা।
উৎসব অনুষ্ঠান বা আরবীতে mansak বা rites:
২:১২৮> ইব্রাহীম নবী বললেন হে আল্লাহ আমাদেরকে ইবাদতের অনুষ্ঠান গুলো কিভাবে হবে দেখিয়ে দিন।
২২:৬৭> প্রত্যেক জাতির ইবাদত পদ্ধতি নির্ধারন করে দিয়েছি যা তারা পালন করে , তাই ওরা যেন এই ইবাদত নিয়ে আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে তোমার সাথে বিতর্কে না জড়ায়, ওদেরকে তোমার রবের দিকে ডাকো, তুমি তো আছে আল্লাহর পথেই আছ - সোজা পথে ।
কুরবানীর আনুষ্ঠানিকতা > ২:১৯৬, ২২:৩৪, ৬,১৬২, ২:২০০
পরিশেষে ৫:৩> যেখানেই নিয়ামত সেখানেই আনন্দ । তাসবীহ, তাহমিদ, তাকবির । আর রাসুলেই রয়েছে উত্তম আদর্শ - example (৩৩:২১) ।
Comments
Post a Comment