রাসুল সাঃ এর শীনা চাক আসলে কি ভাবে হয়েছিল? সুদুরে কি হয়?

সদর / সুদুর (বক্ষদেশ)

এ লেখাটি পড়লে জানতে পারবেন আমাদের প্রিয় রাসুল সাঃ এঁর সীনা বা সদর বা বক্ষচ্ছেদ হয়েছিল কি ভাবে । আরও জানতে পারবেন, সুদুর কি এবং কিভাবে সুদুরে শয়তান ওসঅয়াসা বা সুরসুরি দেয় ।
সদর / বক্ষ (CHEST)ঃ
একবচনে সদর – বক্ষ, বুক, অন্তর, হৃদয়, বহুবচনে সুদুর - বক্ষসমুহ, বুকসমুহ, অন্তরসমুহ, হৃদয়সমুহ । صَدْر সদর বা সুদুর কুরআনে অনেক স্থানে এসেছে, ব্যবরিত হয়েছে বক্ষের সাথে যা আছে তাকে উদ্দ্যেশ করে । আর বক্ষের মধ্যেই যেহেতু শারীরিক এবং অশারিরিক বস্ত গুলো লুকানো আছে । তাই এই কথাটিকেই আল্লাহ বার বার বলেছেনঃ আল্লাহ জানেন তোমাদের সুদুরে সাথে ( بِذَاتِ ) কি আছে ।
বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের মনে যা কিছু উদ্ভব হয় তার রক্ষনা বেক্ষন করার দায়িত্তে আছে সুদুর নামের এক ধরনের তীক্ষ্ণ জ্ঞ্যানী সুরক্ষা ব্যবস্থা । অর্থাৎ সুদুর হচ্ছে কল্বের সুরক্ষা ব্যবস্থা, যেমন প্রাকৃতিক ঠাণ্ডা গরম আগুন বাতাস থেকে চর্ম আমাদের রক্ষা করে। ত্বকে কোন কিছু অনুভুত হলে তা আমাদের অনুভুতি শক্তির মাধ্যমে হৃৎপিণ্ডে বা মনে সংবাদ পাঠাই, মন সে ভাবে ব্যবস্থা নেয়, বুদ্ধি দিয়ে দেহকে আদেশ করে । একই ভাবে শয়তান যখনই কল্বের মধ্যে খারাপ কোন কথা মনে করায়, সুর সুরি দেয়, কুমন্ত্রনা প্রদান করে, তখন এই সুদুর এলেম আকল, হিমক্মাহ, ফুয়াদা কাজে লাগিয়ে তা বাধা দেয় বা সিন্ধান্ত নেয় ।
যদি সুদুর শয়তানের ধোঁকায় নিজে বাধা না দেয়, অন্যান্য জ্ঞানিদেরকেও না জানায়, বা তাদের অন্য ব্যস্ততার সুযোগ নিয়ে শয়তানের পথ খুলে দেয়, তবে তার চালাকি হবে, সুদুর দোষী হবে, সুদুরের বিচার হবে । কারন আল্লাহ তো সব জানেন সুদুরে কি আছে । যেমন আমারা কথায় বলি তোমার বুকে কোন সাহস নাই, বা আমার বুক ভারী হয়ে আসছে, অথবা তোমার বুকে কি একটুও দোয়া নাই ।
কুরআনে এই সদর কথাটি কি কি প্রসঙ্গে ব্যাবহার হয়েছে তা
কিছু আয়াত থেকে উল্লেখিত বিষয়টির মুল উদ্দেশ্য বুঝে নেবো ।
[আল্লাহ যাকে নবী করেন, তাকে পূর্বেই নির্বাচিত করেন, হিকমাহ দানে প্রস্তুত করেন, আল্লাহর নিজের উদ্দেশেই],
ত্ব-হা ২০:১৩> আমি তোমাকে নির্বাচিত করিয়াছি, তাই প্রদত্ত ওহি শ্রবন কর ।…ওহি যা করার করলেন... হাতের লাঠি জীবন্ত সাপ হয়ে দৌড়াতে দেখে ভয় পেয়ে উল্টো দিকে দৌড় দিলেন ২১> আল্লাহ বলেন- ভয় করিও না, ওকে ধর, আমি ওটাকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে দেবো ।... তার পর হাতের আয়াতটি শিখালেন। বললেন ফিরাউনের কাছে একত্ববাদের দাওয়াত দিতে... ২৬:১২ > সে (মূসা (আঃ))বলিলেন, হে রব, আশঙ্কা করি সে (ফিরাউন) আমায় মিথ্যুক বলিবে।, ২৬:১৩> আর আমার বক্ষ / সদর হতবল / দুর্বল / ভীত /আমার বক্ষ সংকুচিত হয়ে পড়েছে/( সংকীর্ন,অপ্রশস্থ অস্বস্থি/অস্থিরতা/অসচ্ছতা বোধ করা) । (আসলে কি বুকের ছাতি বা বুকের পাজর সংকুচিত হচ্ছে, না কি সাহস হচ্ছে না ?) তাই, মূসা (আঃ) এর প্রার্থনা ২০:২৫>> হে আমার প্রতিপালক, আমার বক্ষ/ সদর খুলিয়া দাও/প্রশস্থ করিয়া দাও।২৬> সহজ কর কর্মে ...আরও অনেক কিছু চাইলেন ৩৬> আল্লাহ সবই তাকে দিলেন ।
...মুসা নাবিকে তার জন্ম বৃত্তান্ত, মানুষটিকে খুন করা, দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি, বিভিন্ন পরীক্ষা সব ঘটনা আল্লাহ নাবিকে বললেনঃ
ত্বা-হা ২০:৪১> তোমাকে স্বকারনে প্রস্তুত করিয়াছি- প্রস্তুতি । সকল কিছু বলে, শিখিয়ে, বুকে সাহস দিয়ে- তারপর- ফেরাউনকে দাওয়াত দিতে বললেন ।
( প্রশ্ন হোল এখানে কি মুছা নবীর সিনা চাক বা বক্ষচ্ছেদ হোল? না , এটা হোল বক্ষস্থিত যা কিছু আছে ( সদর এঁর মধ্যে যা কিছু আছে – কলব, এল্ব, আফেদা, হিক্মাহ, আকল ইত্যাদিকে মজবুত করে দাও)
অনুরুপ ভাবে রাসুল সাঃ এর রাসুলের সদর বা বক্ষ প্রসস্থ করে দিয়েছিলেন ।
আল্লাহ বলেন তুমি জানতে না ঈমান কি? কিতাব কি জিনিস ?{} তাইঃ নবী মুহাম্মদ (স:) এর জন্ম থেকে নবুয়ত প্রাপ্তি পর্যন্ত সব অবস্থা আল্লাহই তাঁর রাসুল কে শুনাচ্ছেন । এভাবে, (দেখুন কুরআন কি ভাবে সব খুলে বলেঃ) ৬৩:৬> তোমাকে পান নাই এতিম? [নবী এতিম অসহায় ছিলেন] দেন নাই তিনি আশ্রয়? [আশ্রয়হীন ছিলেন, বাবা মা কেউ নেই] ৯৩:৭> পান তোমায় পথহারা, দেখান পথ [যে পথিক পথ খুজে ফিরে] ৯৩:৮> পান তিনি তোমায় নিঃস্ব, করেন সচ্ছল [অসচ্ছল ছিলেন]
আবার এখন, নবুয়ত প্রাপ্তিতে কি পরিবর্তন হয়েছেঃ সে অবস্থার কথা রাসুল কে শান্তনা দিচ্ছেন, মুশ্রিকদের অত্যাচারের সময় – অতি কষ্টে ধৈর্য ধরার জন্য ।
{আল্লাহ্‌র রাসুল মুহাম্মাদ সাঃ এর শীণা চাক বা বক্ষ বিদিরন হওয়ার যে সকল হাদিস আমারা জেনে এসেছি তা কুরআনের সদর শব্দটির সাথে মিলে না। অর্থাৎ ফেরাস্তাগন শারীরিক ভাবে অস্ত্রপ্রচার করলেন ... ইত্যাদি ইত্যাদি}
লক্ষ্য করুনঃ ৯৪:১> তোমার সদর কি প্রশস্ত করিনাই? [ ইসলামেই বুকটা ভরে যায়, বুকটা প্রশান্ত হয় ) ৯৪:২> বিদুরন করিয়াছি তোমার বোঝা, যা ছিলো তোমার জন্য অতি দূর্বিসহ । (মুশ্রিক দের শিরকী কার্যকলাপ, অন্ধকার সমাজ ব্যবস্থা) ৯৪:৩> তোমার প্রশংসা উর্ধে তুলিয়াছি [সকল ফেরেস্তা ও ইমানদার জীন ও মানুষেরা সালাম ও প্রশংসা করে, রাহ্মাতুল্লিল আলামিন করেছি, তোমার চরিত্রকে মহান করেছি] ৯৪:৪> (জেনে রাখ) দুঃখের সাথেই সুখ , ৯৪:৫) (আর) কষ্টের সাথে অবশ্যই সুখ ।
তাহলে বুঝা যাচ্ছেঃ যে সদর এর কথা মুছা নাবির বেলায় ব্যবহৃত হয়েছে সেই একই সদর রাসুলের জন্যও ব্যবহৃত হয়েছে ।
মুলতঃ সদর / বক্ষের প্রসস্থতা যে ইসলাম এর জন্যইঃ
৬:১২৮> আল্লাহ্‌ই জ্ঞাত রিসালাতের ভার কার উপর বর্তাইবেন ।
৬:১২৫> কাউকে আল্লাহ্‌ সৎপথে/ আল্লাহ্‌র পথে চালাইতে চাহিলে তার সুদুর কে / বক্ষকে ইসলাম গ্রহনে প্রশস্থ করেন এবং যাকে তিনি ইচ্ছা করেন পথভ্রষ্ট করিতে তার তার সদ্র/বক্ষকে/ বুদ্ধিমত্তা কে সংকুচিত এবং আবদ্ধ করেন তাকে যেন আরোহন করতে হয় আকাশে... যেন আত্মা শূন্য । ( যেমন সমস্যার পড়লে অনেকেই ভুল করে, দিশেহারা হয়ে যায়) । তাদের প্রতি আল্লাহ্‌র এই প্রকার আক্রোশ পড়িয়া থাকে যারা ঈমান আনে না (তাদের উপর)
৬:১২৬> এই দেখানো পথ “ইসলাম” ই আল্লাহর সরল সঠিক পথ । ( যে এই পথে পথ পায় তার বক্ষ আত্মবিশ্বাসে ভরে যায় )
তাহলে সূরা নাশরাহ ৯৪:১> তোমার সদর কি প্রশস্থ করিনাই? এবং [৬:১২৫ অনুযায়ী -> ইসলাম/ঈমান ও সত্য পথের জন্য]
এবং ৬:১২৬>এই দ্বীন ইসলামই তোমার রব্বের পথ; আমি আয়াত বিস্তারিত বর্ননা করিয়াছি উপদেশ গ্রহন কারীদের জন্য। এবং
৯৪:২,৩ আয়াত অনুযায়ী তখনকার সময় নবী (সঃ) যে সমাজে বড় হয়েছেন বসবাস করেছেন দীর্ঘ ৪০ বছর, তাদের অবস্থা বিশেষ করে, কুফরী- সমাজে > বিভিন্ন দেবদেবীর পূজা-> বনু হাশেম মোত্তালিব যে আল্লাহ কে মানতো অর্থাৎ কাবার মালিককে- সেই মালিককেই ডাকতেন (নবী হওয়ার পূর্বে হেরা গুহায়)। কারন তিনি খুঁজছিলেন এমন একটি সমাজ ব্যবস্থা যা অন্ধকার কে দূর করেবে । পরিশেষে আল্লাহ মুহাম্মাদ সাঃ এর বক্ষ থেকে এই দুশ্চিন্তার কুফরির বোঝা দূর করে দিলেন, ইসলাম দান করলেন, বক্ষ/সুদুর প্রশস্থতা লাভ করলো।
তাহলে, কেনো বক্ষ/.........../উন্মুক্ত/মুক্ত করা হয়েছে?কারনঃ
৩৯:২২> ইসলামের জন্য যার সদর আল্লাহ্‌ মুক্ত/উন্মুক্ত/প্রশস্থ করিয়াছেন, সে তার রব্বের উপর পরিচালিত।
সুদুর (The Guard of the Heart & Mind)
বুকের মধ্যে বুদ্ধি সম্পন নিরাপত্তা ব্যবস্থাপকের নাম সুদুর । ঈমান মজবুত হলে সুদুরের সাহজ বেড়ে যায়, শয়তান দিতে পারে না ।
এবার দেখা যাক এই সদরের সাথে কি আছে? আল্লাহ কেন বার বার কুরআন মাজিদে এই সুদুরের কথা বলেছেন এ ভাবেঃ 3:154, 64:4 وَاللَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
الصُّدُورِ بِذَاتِ সুদুরের সাথে বা সুদুরে অর্থে আয়াত সমুহঃ
3:119,154, 5:7, 8:43, 11:5, 31:23, 35:38, 39:7, 42:24, 57:6, 64:4, 67:13 এ আয়াত গুলোর পূর্বাপর অনুধাবন করুন ।
আরও কিছু আয়াত দেখুনঃ
১০০:৯> সে কি জানেনা কবরাস্থগনে উঠানো হইবে? ১০০:১০) প্রকাশ করা হইবে সুদুরে যা আছে। ( সুদুরের চালাকি, কেন সে শয়তানের কথা শুনে মানুষকে ধোঁকায় ফেলেছে)
১১৪:৫> যে মানুষের সুদুরে কুমন্ত্রনা (whisper বা ওয়াসাওয়াসা) প্রদান করে সে জ্বীন কিংবা মানুষের মধ্য হইতে।
সুদুরে প্ররোচনা ( ধোঁকা)অর্থেঃ অয়াসোয়াসা বা কুমন্ত্রনার মতই আরেকটি শয়তানী অস্ত্র আছে যা মানুষের সুদুরে শয়তান প্রয়োগ করে – বিভেদ সৃষ্টি করে ( রূহের সাথে কল্বের – রাজার সাথে প্রধানমন্ত্রীর)
৭:২০০> আর যদি শয়তানের প্ররোচনা ( ধোঁকা) তোমাকে প্ররোচিত করে, তাহলে আল্লাহর শরণাপন্ন হও তিনিই শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। (মনে
১২;১০০> ... শয়তান আমার ও আমার ভাইদের মধ্যে কলহ সৃষ্টি করে/ প্ররোচিত করে/ ধোঁকায় ফেলার/, দেয়ার পর। আমার পালনকর্তা যা চান, কৌশলে সম্পন্ন করেন। নিশ্চয় তিনি বিজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
17:53> আমার বান্দাদেরকে বলে দিন, তারা যেন যা উত্তম এমন কথাই বলে। শয়তান তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধায়। নিশ্চয় শয়তান মানুষের প্রকাশ্য শত্রু।
৪১:৪৬> যদি শয়তানের পক্ষ থেকে আপনি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব করেন, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হোন। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
মোট কথা সুদুরে whisper বা ওয়াসাওয়াসা আসে শয়তান থেকে ।
তাহলে সুদুরে কি আছে? সুদুরের অবস্থান কোথায়?
৫:৭> সুদুরে যা আছে তা সম্মন্ধে আল্লাহ অবগত/আল্লাহ অন্তর্যামী [১১:৫] ۚ إِنَّ اللَّهَ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
ۚ إِنَّهُ عَلِيمٌ بِذَاتِ الصُّدُورِ
৩:১৫৪> তোমার সুদুরে যা আছে [এখানেبِذَاتِদ্বারা স্বত্ব, অস্তিত্ব, নিজ বা তোমার, তোমার স্বয়ং, স্বয়ং ইত্যাদি বুঝায়], অর্থাৎ সুদুরের সাথে যুক্ত যা কিছু আছে ।
১১:৫> সাবধান ওরা তার নিকট (আল্লাহ্‌র নিকট) গোপন রাখার জন্য সুদুরে বিদ্বেষ/অহংকার পালে।
সাবধান ওরা শয়নকালে নিজেদের কাপড় মুড়ি দিয়ে থাকে, আল্লাহ পরিজ্ঞাত ওরা গোপন ও প্রকাশ্যে যা করে- নিশ্চয় আল্লাহ সুদুরের বিষয় সম্মন্ধে জ্ঞানী/জ্ঞাত।
[লোক চক্ষুর অন্তরালে, রাতের অন্ধকারে নিজেকে আবৃত করে যা কিছু আমরা করি তা যেমন মানুষেরা জানেনা দেখেনা কিন্তু তা আমি নিজে জানি, আল­াহ জানেন। একইভাবে সুদুরের কার্যকলাপ,চালাকি,ফাকিবাজি ইত্যাদি যা কিছুই বিদ্বেষ/অহংকার পোষন করুক আল্লাহ সবকিছুই জানেন।
যেমন সময়ের বা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে শত্রুর সাথে চলতে হচ্ছে, কিন্তু আমার বুকের মধ্যে চাপা ক্ষোভ আমিই জানি ।
৫৯:৯> ওদিগকে ( আনসারদেরকে) যা প্রদত্ত হয় তাতে সুদুরে কোন হিংসা/ লোভ/ লালসা/ কামনা/ ও চাহিদা পোষণ করে না/ সৃষ্টি করে না । অর্থাৎ বুঝা গেল সুদুরে হিংসা, লোভ, লালসা, কামনা, বাসনা, চাহিদা সৃষ্টি হয়, এ জন্যই শয়তান সুদুরে অয়াসয়াসা দিতে পারে ।
৫৯:১৩> নিশ্চয় তোমরা তাদের সুদুরে আল্লাহ তা’আলা অপেক্ষা অধিকতর ভয়াবহ / মারাত্মক। এটা এ কারণে যে, তারা এক নির্বোধ কওম। অর্থাৎ ভয় তৈরি হয় সুদুরে +। জ্ঞ্যান লোপ করে রাখে, জ্ঞ্যান কাজে লাগায় না ফলে বোকা হয় ।
22:46> তারা কি এই উদ্দেশ্যে দেশ ভ্রমণ / পর্যটন করেনি ? যাতে তারা
বুঝিবার মত কলব (আকল আছে এমন কল্ব), ও শুনিবার শক্তি সম্পন্ন কর্ণের অধিকারী হতে পারে? কিন্ত বস্তুঃত ব্যাপার এই যে, ইহাদের চক্ষু অন্ধ হয় না বটে, কিন্তু সুদুরের অন্তঃস্থ কল্ব অন্ধ । অর্থাৎ তারা মন দিয়ে ভাবে না ।
যারা ঐ সকল ঐতিহাসিক স্থান (লুত, সামুদ, আদ, ফেরাউন)ভ্রমন করে, চোখ দিয়ে দেখে, গাইড যা কিছু ইতিহাস বলে কান দিয়ে শুনে কিন্তু তারা অন্তর বা কল্ব বা মন দিয়ে ভাবে না, যেন তারা তাদের কল্ব কে সুদুর দ্বারা সত্যিই ঢেকে রেখেছে, যেন কিছুই শিক্ষা লাভ করে না, অন্যান্য জীবের মত দেখে, কিন্তূ বুঝে না। যেমন ঐ সকল পর্যটক ফেরাউনের দেশ দেখল, ফেরাউনের মমিদেহ দেখল । যে এক সময় নিজেকে এলাহি বা পূজনীয় রব্ব ঘোষণা করে সবাইকে মানতে বাধ্য করেছিল সেই সম্রাটের / রবের আজ কি দশা । ইত্যাদি ভাবে যে মন, যে চোখ দেখার মত দেখে, যে কান শুনার মত শুনে যেন বুঝে, অন্তর কল্ব নরম হয়, আসল প্রভুকে চিনতে পারে ।
ধন্যবাদান্তে,
শাহা আলাম, তেজগাও, ঢাকা । তাং ১৬/৫/২০২০
Email: atcdhaka@gmail.com

Comments

Popular posts from this blog

what is Nafs ? নাফস কি?

Hayatunnabi