ফুয়াদা/ আফঈদা বা বুদ্ধিমত্তা
ফুয়াদা/ আফঈদা বা বুদ্ধিমত্তা
Intellect/Intelligence/ Perception/ মানসিক মেধা, যে জ্ঞ্যানে কোন সন্দেহ থাকে না, দিব্ব্যজ্ঞ্যান (clear conception) ।
বিভিন্ন ভাযায় কুরআন মাজিদের অনুবাদ সমুহে এই ফুয়াদা / আফঈদাকে অন্তর , হার্ট (Heart) বলা হয়েছে, কলবকেও অন্তর বা মন বলা হয়েছে, সুদুরকেও অন্তর বা মন বলা হয়েছে। আবার আকল কে Intellect বা বুদ্ধিমত্তা বলা হচ্ছে যা পাঠককে মুল অর্থ অনুধাবনে অনেক অনেক দূরে ঠেলে দিচ্ছে মুল ভাবার্থ থেকে । আল্লাহু রাব্বুল আলামিন তার কালামে ফুয়াদা, আফঈদা, কলব, আকল, ইল্ম, সুদুর, রূহ ইত্যাদি যেখানে যে ভাবে ব্যবহার করেছেন আমাদের কে সে ভাবেই বুঝতে হবে । কলব মানে অন্তর ফুয়াদা বা বহুবচনে আফঈদা মানেও অন্তর কিভাবে হয় ? আমরা আসলে আছি কোন পথে ? এই অনুসন্ধানি অধ্যায়টি পড়ুন, নিজের ধারনা কে মজবুত করুন, কুরআন কে নিয়ে গবেষণা করুন ।
Intellect/Intelligence/ Perception/ মানসিক মেধা, যে জ্ঞ্যানে কোন সন্দেহ থাকে না, দিব্ব্যজ্ঞ্যান (clear conception) ।
বিভিন্ন ভাযায় কুরআন মাজিদের অনুবাদ সমুহে এই ফুয়াদা / আফঈদাকে অন্তর , হার্ট (Heart) বলা হয়েছে, কলবকেও অন্তর বা মন বলা হয়েছে, সুদুরকেও অন্তর বা মন বলা হয়েছে। আবার আকল কে Intellect বা বুদ্ধিমত্তা বলা হচ্ছে যা পাঠককে মুল অর্থ অনুধাবনে অনেক অনেক দূরে ঠেলে দিচ্ছে মুল ভাবার্থ থেকে । আল্লাহু রাব্বুল আলামিন তার কালামে ফুয়াদা, আফঈদা, কলব, আকল, ইল্ম, সুদুর, রূহ ইত্যাদি যেখানে যে ভাবে ব্যবহার করেছেন আমাদের কে সে ভাবেই বুঝতে হবে । কলব মানে অন্তর ফুয়াদা বা বহুবচনে আফঈদা মানেও অন্তর কিভাবে হয় ? আমরা আসলে আছি কোন পথে ? এই অনুসন্ধানি অধ্যায়টি পড়ুন, নিজের ধারনা কে মজবুত করুন, কুরআন কে নিয়ে গবেষণা করুন ।
মানুষ যখন কঠিন সিন্ধান্তের সম্মুখীন হয় তখন কি করে? নিজে সিন্ধান্ত নিতে অপারগ হলে জানা লোকের নিকটে যায়, পরামর্শ করে, বুদ্ধি ণেয় ।আফঈদা এইরকমই এক উচ্চমাত্রার জ্ঞ্যানের আধার । যা দ্বারাঃ ভালকরে অনুধাবন করা যায়, সঠিক ধারনা করা যায়, ভালো মন্দ চেনা যায়, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, সন্দেহ দূর করা যায়, চিন্তা চেতনা ধ্যান ধারনা করা যায়, দুশ্চিন্তা দূর করা যায়, প্ররোচনা থেকে বাচা বা বিভ্রান্তি দূর করা যায় এবং যার অভাবে এর বিপরিত কাজ গুলো হয়, মানুষ মূর্খ হয় / বোকামি করে । যেমন আবু জেহেল সব জেনে বুঝেও ইসলাম গ্রহন করতে পারেনি, মূর্খের বাবা হয়ে গেছে ।
মূলতঃ আল্লাহ সব জানেন, আমরা কিছুই জানি না । আল্লাহই জ্ঞ্যানের মালিক । আফ্যেদা সম্বলিত কিছু আয়াত এবং তার অনুবাদ লক্ষ্য করুনঃ
৬:১১০> আমি তাদের আফইদা ও চোখে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী যেমনি প্রথমে তাতে ঈমান আনে নাই তাই এবং তাদের অবাধ্যতার অমানিশায় তাদিগে ঘুরপাক খাইতে দিবো।
অর্থাৎ চোখে দেখে তা আফইদা দ্বারা অনুধাবন করা (perception) যায় এবং যারা বুঝবার তা প্রথমেই/শুনেই/দেখেই বুঝে নেয় কিন্তু যারা বুঝেও বুঝে না, তারা ঐ অন্ধকারেই ঘুরপাক খায়, অন্ধকারকে আলো বানাতে সাধনা করে।
৬:১১৩> তারা এজন্য প্ররোচিত করে যে আখেরাতে অবিশ্বাসীদের যেনো সে দিকে থাকে এবং যেনো তাতে তারা খুশী হয়, আর যা করে তাতে থাকিতে পারে মগ্ন।
অর্থাৎ দুনিয়ার জীবন নিয়েই ধ্যান-জ্ঞান তপস্যা করে, তাদের আফঈদা (Intellect) কে দুনিয়ার জন্য নিয়োজিত রাখে। কারন তারা পরকালকে বিশ্বাস করে না ।
২৮:১০> মূসা জননীর আফঈদা অস্থির হইয়া পড়িয়াছিল, সে তো তার পরিচয় প্রকাশ করিয়াই দিত, যদি না আমি তার ফুয়াদাকে (Intelligence ) (আমার প্রতি ঈমানে) আস্থাশীল হওয়ার জন্য দৃঢ় করিয়া দিতাম।
[ এই আয়াতের পরিপ্রেক্ষিত বা অবস্থায় বুঝা যায় – যখন তারা দেখল বাচ্চা কারো দুধ পান করছে না, অথচ এই মহিলার দুধ পান করছে । তখন তাঁকে বিভিন্ন কৌশলে তার পরিচয় বের করার চেষ্টা করে পেরেশান করে ফেলে অর্থাৎ তার মাকে বিভিন্ন ভাবে প্রশ্ন করা হইয়াছে সন্তানের পরিচয়ের বিষয়ে যেমন প্রশ্ন করে জেরা করে অস্থির করে আসামিকে-এমনি অবস্থা । কিন্তু আল্লাহ তার ফুয়াদা মজবুত করে দেয়াতে বুক ফাটলেও মুখ ফুটে নাই, ধৈর্য ধরেছে সফলকাম হয়েছে। আল্লাহ বলেছিলেন, ভাসিয়ে দাও, পরে তোমার কোলেই ফিরাব, তোমার চোখ জুড়াব ]
[কল্বে যদি ঈমান মজবুত হয় তবে দুনিয়ার বিভিন্ন অবস্থার পরিপেক্ষিতে চোঁখে দেখে, কানে শুনে ফুয়াদা অস্থির/ভীত হলেও ঈমানের বলে সে জয়যুক্ত হবে]
৩২:৯> পরে তাকে আকৃতি দেন (সুঠাম করেন) এবং নিজ থেকে তার রূহ হতে ফুকেন এবং তোমাদের জন্য তিনি কর্ন,চক্ষু ও ফুয়াদা প্রদান করেছেন, তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।
[জ্ঞান-বুদ্ধি প্রদান করেছেন/অনুভূতি/ইন্দ্রিয় শক্তি ও জ্ঞান দান করিয়াছেন।] যেহেতু আয়াতে কৃতজ্ঞতার কথা আছে তাই এখানে যা দ্বারা কৃতজ্ঞতা-অকৃতজ্ঞতা দুটোই করা না করা যায় এমন মাপক হচ্ছে আফঈদা । যেমন দেখেও দেখিনা, শুনেও শুনিনা, বুঝেও বুঝিনা।
মূলতঃ আল্লাহ সব জানেন, আমরা কিছুই জানি না । আল্লাহই জ্ঞ্যানের মালিক । আফ্যেদা সম্বলিত কিছু আয়াত এবং তার অনুবাদ লক্ষ্য করুনঃ
৬:১১০> আমি তাদের আফইদা ও চোখে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী যেমনি প্রথমে তাতে ঈমান আনে নাই তাই এবং তাদের অবাধ্যতার অমানিশায় তাদিগে ঘুরপাক খাইতে দিবো।
অর্থাৎ চোখে দেখে তা আফইদা দ্বারা অনুধাবন করা (perception) যায় এবং যারা বুঝবার তা প্রথমেই/শুনেই/দেখেই বুঝে নেয় কিন্তু যারা বুঝেও বুঝে না, তারা ঐ অন্ধকারেই ঘুরপাক খায়, অন্ধকারকে আলো বানাতে সাধনা করে।
৬:১১৩> তারা এজন্য প্ররোচিত করে যে আখেরাতে অবিশ্বাসীদের যেনো সে দিকে থাকে এবং যেনো তাতে তারা খুশী হয়, আর যা করে তাতে থাকিতে পারে মগ্ন।
অর্থাৎ দুনিয়ার জীবন নিয়েই ধ্যান-জ্ঞান তপস্যা করে, তাদের আফঈদা (Intellect) কে দুনিয়ার জন্য নিয়োজিত রাখে। কারন তারা পরকালকে বিশ্বাস করে না ।
২৮:১০> মূসা জননীর আফঈদা অস্থির হইয়া পড়িয়াছিল, সে তো তার পরিচয় প্রকাশ করিয়াই দিত, যদি না আমি তার ফুয়াদাকে (Intelligence ) (আমার প্রতি ঈমানে) আস্থাশীল হওয়ার জন্য দৃঢ় করিয়া দিতাম।
[ এই আয়াতের পরিপ্রেক্ষিত বা অবস্থায় বুঝা যায় – যখন তারা দেখল বাচ্চা কারো দুধ পান করছে না, অথচ এই মহিলার দুধ পান করছে । তখন তাঁকে বিভিন্ন কৌশলে তার পরিচয় বের করার চেষ্টা করে পেরেশান করে ফেলে অর্থাৎ তার মাকে বিভিন্ন ভাবে প্রশ্ন করা হইয়াছে সন্তানের পরিচয়ের বিষয়ে যেমন প্রশ্ন করে জেরা করে অস্থির করে আসামিকে-এমনি অবস্থা । কিন্তু আল্লাহ তার ফুয়াদা মজবুত করে দেয়াতে বুক ফাটলেও মুখ ফুটে নাই, ধৈর্য ধরেছে সফলকাম হয়েছে। আল্লাহ বলেছিলেন, ভাসিয়ে দাও, পরে তোমার কোলেই ফিরাব, তোমার চোখ জুড়াব ]
[কল্বে যদি ঈমান মজবুত হয় তবে দুনিয়ার বিভিন্ন অবস্থার পরিপেক্ষিতে চোঁখে দেখে, কানে শুনে ফুয়াদা অস্থির/ভীত হলেও ঈমানের বলে সে জয়যুক্ত হবে]
৩২:৯> পরে তাকে আকৃতি দেন (সুঠাম করেন) এবং নিজ থেকে তার রূহ হতে ফুকেন এবং তোমাদের জন্য তিনি কর্ন,চক্ষু ও ফুয়াদা প্রদান করেছেন, তোমরা অল্পই কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করো।
[জ্ঞান-বুদ্ধি প্রদান করেছেন/অনুভূতি/ইন্দ্রিয় শক্তি ও জ্ঞান দান করিয়াছেন।] যেহেতু আয়াতে কৃতজ্ঞতার কথা আছে তাই এখানে যা দ্বারা কৃতজ্ঞতা-অকৃতজ্ঞতা দুটোই করা না করা যায় এমন মাপক হচ্ছে আফঈদা । যেমন দেখেও দেখিনা, শুনেও শুনিনা, বুঝেও বুঝিনা।
১৭:৩৬> অনুমান পরিচালিত হইয়ো না, যাতে তোমার জ্ঞান নাই; কান, চোঁখ ও ফুয়াদা (বুদ্ধিমত্তা)- এ সমুদয় হইতে কেয়ামত দিবসে জিজ্ঞাসা করা হইবে।
অর্থাৎ আমরা কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেখে শুনে ও বুঝে নেই, এই দেখা শুনা ও বুঝার জন্য ইন্দ্রীয় শক্তি বা অনুভূতি প্রয়োজন সেই সাথে প্রয়োজন আফঈদা বা বুদ্ধিমত্তা ।
অর্থাৎ আমরা কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দেখে শুনে ও বুঝে নেই, এই দেখা শুনা ও বুঝার জন্য ইন্দ্রীয় শক্তি বা অনুভূতি প্রয়োজন সেই সাথে প্রয়োজন আফঈদা বা বুদ্ধিমত্তা ।
দিব্যজ্ঞানের একটি মাধ্যমঃ
আফইদা- Perceptibility বা প্রত্যক্ষ করিবার গুন বা ইন্দ্রীয় গাহ্যতা আছে- জ্ঞাতব্য বা বোধগম্য। Perception - ইন্দ্রীয় দ্বারা লব্ধ করিবার ক্ষমতা, ইন্দ্রীয় দ্বারা উপলব্ধি করন, জ্ঞান অনুভূতি, বোধ যার মাধ্যমে আমরা ধারনা বা চিনি, জানি।
যেমন ২৮:১০ নং আয়াতে আল্লাহু তায়ালা মূসা নবীর কলবে আল্লাহ্ সম্বন্ধে যে ঈমানী জ্ঞান দৃঢ় করে দিয়েছিলেন তার আফইদার মাধ্যমে । মূলত মনে হচ্ছে আফ্য়েদাহ বা ফুয়াদা অন্তঃদৃষ্টি বা দিব্যদৃষ্টি বা দিব্যজ্ঞানের একটি মাধ্যম। যা দ্বারা কল্ব প্রভাবিত করা যায়।
আফইদা- Perceptibility বা প্রত্যক্ষ করিবার গুন বা ইন্দ্রীয় গাহ্যতা আছে- জ্ঞাতব্য বা বোধগম্য। Perception - ইন্দ্রীয় দ্বারা লব্ধ করিবার ক্ষমতা, ইন্দ্রীয় দ্বারা উপলব্ধি করন, জ্ঞান অনুভূতি, বোধ যার মাধ্যমে আমরা ধারনা বা চিনি, জানি।
যেমন ২৮:১০ নং আয়াতে আল্লাহু তায়ালা মূসা নবীর কলবে আল্লাহ্ সম্বন্ধে যে ঈমানী জ্ঞান দৃঢ় করে দিয়েছিলেন তার আফইদার মাধ্যমে । মূলত মনে হচ্ছে আফ্য়েদাহ বা ফুয়াদা অন্তঃদৃষ্টি বা দিব্যদৃষ্টি বা দিব্যজ্ঞানের একটি মাধ্যম। যা দ্বারা কল্ব প্রভাবিত করা যায়।
২৩:৭৮> তিনিই তোমাদিগকে কর্ন, চক্ষু ও ফুয়াদা (বুদ্ধিমত্তা) দানিয়াছেন, তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞ। অর্থাৎ আফঈদা দিয়ে সবকিছু জানা বুঝার পরও শয়তানের ধোঁকায়, পরিবার, সমাজ ইত্যাদির ভয়ে বাবা মা বা আদি পুরুশদের ইচ্ছার ইবাদত করে । কিন্তু সে জানে, সে আফঈদা দ্বারা বুঝেছে সৃষ্টি কর্তার উপস্থিতি ।
১৬:৭৮> আর আল্লাহু তায়ালা বাহির করিয়াছেন তোমাদিগকে মাতৃগর্ভ হইতে যা তোমরা কিছুই জানিতে না, তিনি দানিয়াছেন তোমার কর্ন এবং চক্ষু ও আফইদা (বুদ্ধিমত্তা)যাতে তোমরা তার শোকর করো/তোমরা কৃতজ্ঞ হও।
কর্ন ও চক্ষুর ন্যায় আরও সকল অঙ্গ প্রতঙ্গ এবং আফইদা দ্বারা Brain, sence/ nurbe system এবং হৃদপিন্ড কেও বুঝা যায় যেগুলো চিন্তার সাথে সম্পৃক্ত (Intellect/বুদ্ধি/Intelligence/ Perception) .
৪৬:২৬> আমি ওদিগকে যে প্রতিষ্ঠা দিয়াছিলাম, তা তোমাদিগকে দেই নাই, দিয়াছিলাম তাদিগকে কর্ন, চক্ষু ও আফইদা কিন্তু তাদের এই কর্ন, চক্ষু ও আফইদা কোন উপকারে আসে নাই যেহেতু তারা আল্লাহ্র আয়াতকে অস্বীকার (শোকর আদায় না করা/অকৃতজ্ঞ হওয়া) করিয়াছিলো এবং যা লইয়া তারা বিদ্রুপ করিত তাই তা দিগকে বেষ্টন করিলো।
[আদ সামুদেরা আল্লাহ্র শাস্তিকে বিদ্রুপ করতো শেষে আজাবই তাদের বিনাশ করলো] এখানে চক্ষু, কর্ন-> এই দুটি দ্বারা আল্লাহ্র নিদর্শন দেখা ও আয়াত শোনা যায় । আয়াত, হতে পারে আল্লাহ্র নিদর্শন, হতে পারে নবী রাসূলদের নিকট প্রেরিত বানী। এগুলো সবই জ্ঞানীদের বিষয়। প্রত্যেক নাবীর সময় ঐ সময়ের বিখ্যাত জ্ঞানী ও ধনী সমাজপতিরাই বিরত রাখতো লোক সকলকে আল্লাহ্র কৃতজ্ঞতা প্রকাশে, রাসুলদের অনুসরণ করতে । তাই বুঝা যায়, আফইদা দ্বারা বিশেষ জ্ঞান/চিন্তা শক্তিকেই বুঝা যায়।
[আদ সামুদেরা আল্লাহ্র শাস্তিকে বিদ্রুপ করতো শেষে আজাবই তাদের বিনাশ করলো] এখানে চক্ষু, কর্ন-> এই দুটি দ্বারা আল্লাহ্র নিদর্শন দেখা ও আয়াত শোনা যায় । আয়াত, হতে পারে আল্লাহ্র নিদর্শন, হতে পারে নবী রাসূলদের নিকট প্রেরিত বানী। এগুলো সবই জ্ঞানীদের বিষয়। প্রত্যেক নাবীর সময় ঐ সময়ের বিখ্যাত জ্ঞানী ও ধনী সমাজপতিরাই বিরত রাখতো লোক সকলকে আল্লাহ্র কৃতজ্ঞতা প্রকাশে, রাসুলদের অনুসরণ করতে । তাই বুঝা যায়, আফইদা দ্বারা বিশেষ জ্ঞান/চিন্তা শক্তিকেই বুঝা যায়।
অর্থাৎ আল্লাহ্ আমাদের মস্তিষ্কো সম্পন্ন করেছেন যা দ্বারা আমরা ভাল-মন্দ, যুক্তি-তর্ক, আয়-ব্যয়, লাভ-লোকসান, জয়-পরাজয়, আলো-অন্ধকার সবকিছু পৃথক করতে পারি।আর এই মস্তিষ্কোর বা আফিদার সাথে সম্পৃক্ত দুটি অঙ্গ হলো আমাদের কর্ন এবং চক্ষু।
আফিদা সকল প্রকার জ্ঞান/চিন্তা শক্তির মুল চালক বুঝা যায়ঃ
৬৭:২৩> বলো, তিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং তোমাদিগকে দিয়াছেন কান, চোঁখ ও ফুয়াদা অথচ তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। অর্থাৎ যা দ্বারা বুঝা যায়, যা দ্বারা চিন্তা করা যায়, অনুধাবন করা যায়, যা দ্বারা সিদ্ধান্ত নেয়া যায়, ভালোমন্দ, আগুন-পানি, পাপ-পূন্য চেনা যায় তাহাই আফিইদা ।
৬৭:২৩> বলো, তিনি তোমাদিগকে সৃষ্টি করিয়াছেন এবং তোমাদিগকে দিয়াছেন কান, চোঁখ ও ফুয়াদা অথচ তোমরা সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। অর্থাৎ যা দ্বারা বুঝা যায়, যা দ্বারা চিন্তা করা যায়, অনুধাবন করা যায়, যা দ্বারা সিদ্ধান্ত নেয়া যায়, ভালোমন্দ, আগুন-পানি, পাপ-পূন্য চেনা যায় তাহাই আফিইদা ।
৫৩:১১> সে (মুহাম্মাদ সাঃ) যা দেখিয়াছে আফিইদা তা স্বিকার করিয়াছে । অর্থাৎ এখানে দেখিয়াছে কপালের চোখ দ্বারা এবং ফুয়াদ অর্থাৎ তার জ্ঞান/চিন্তাশক্তি / intellect যুক্তি বুদ্ধিতেও অর্থাৎ সজ্ঞানে মেনে নিয়েছে অর্থাৎ দৃষ্টি বিভ্রাট বা ভ্রম হয়নি-দিনের আলোর মতই সত্যই জিবরীল ফেরেস্তাকে তার স-চেহারায় দেখেছে ।
আবার দেখুন ১০৪ নং সূরা হুমাযাহঃ
(১) সম্মুখে ও পশ্চাতে নিন্দাকারীদের দুর্ভোগ (২) যারা সম্পদ জমায় ও বারবার তা গননা করে (৩) সে ভাবে/হিসাব করে/চিন্তা করে, অর্থই তাকে রাখিবে ওমর করিয়া (৪) কখনোই না, নিক্ষিপ্ত হইবেই সে হুতামায় (৫) হুতামা কি তা তুমি জানো ? (৬) তা আল্লাহর প্রজুলিত আগুন (৭) যা আফঈদা এর খবর নিয়া ছাড়িবে (৮) নিশ্চয় উহা তাদিগকে বেষ্টন করিয়া রাখিবে (৯) দীর্ঘ স্তম্ভের মধ্যে । অর্থাৎ চারিদিকে আগুনের স্তম্ভ, মাঝে সে থাকবে, কষ্টে প্রান যায় যায় , তখন সে না মরবে না বাঁচবে । সে তখন ভাববে- কেনো ঈমানদারদের নিন্দা করতাম- কেনো সম্পদের পাহাড় গড়তাম । এখন সম্পদের পাহাড় আগুনের পাহাড় হলো- এই হুতামার মধ্যে তার আফঈদা অর্থাৎ বুদ্ধিমত্তা/ চিন্তা/ চালাকি/ নিন্দা, হিংসা ইত্যাদি যে ইন্দ্রীয়ের মাধ্যমে করতো (যেমন কারুন বলেছিল আমি সম্পদ অর্জন করেছি আমার জ্ঞ্যান দিয়ে) তার উপরই কষ্ট হবে। মাথার চুল ছিড়বে/মাথা দেয়ালে ফাটানো- হায়, কেনো আমি এটা করেছিলাম, এমন। অর্থাৎ এখানে আফয়েদাহ এর খবর নিয়া ছাড়বে।
(১) সম্মুখে ও পশ্চাতে নিন্দাকারীদের দুর্ভোগ (২) যারা সম্পদ জমায় ও বারবার তা গননা করে (৩) সে ভাবে/হিসাব করে/চিন্তা করে, অর্থই তাকে রাখিবে ওমর করিয়া (৪) কখনোই না, নিক্ষিপ্ত হইবেই সে হুতামায় (৫) হুতামা কি তা তুমি জানো ? (৬) তা আল্লাহর প্রজুলিত আগুন (৭) যা আফঈদা এর খবর নিয়া ছাড়িবে (৮) নিশ্চয় উহা তাদিগকে বেষ্টন করিয়া রাখিবে (৯) দীর্ঘ স্তম্ভের মধ্যে । অর্থাৎ চারিদিকে আগুনের স্তম্ভ, মাঝে সে থাকবে, কষ্টে প্রান যায় যায় , তখন সে না মরবে না বাঁচবে । সে তখন ভাববে- কেনো ঈমানদারদের নিন্দা করতাম- কেনো সম্পদের পাহাড় গড়তাম । এখন সম্পদের পাহাড় আগুনের পাহাড় হলো- এই হুতামার মধ্যে তার আফঈদা অর্থাৎ বুদ্ধিমত্তা/ চিন্তা/ চালাকি/ নিন্দা, হিংসা ইত্যাদি যে ইন্দ্রীয়ের মাধ্যমে করতো (যেমন কারুন বলেছিল আমি সম্পদ অর্জন করেছি আমার জ্ঞ্যান দিয়ে) তার উপরই কষ্ট হবে। মাথার চুল ছিড়বে/মাথা দেয়ালে ফাটানো- হায়, কেনো আমি এটা করেছিলাম, এমন। অর্থাৎ এখানে আফয়েদাহ এর খবর নিয়া ছাড়বে।
বুদ্ধিমত্তা/ মানষিক/আফিইদাঃ
১১:১২০> নবীগনের যাবতীয় বৃত্তান্ত দ্বারা তোমার ( মুহাম্মাদ সাঃ এর) ফুয়াদা দৃঢ় করি (জ্ঞ্যান কে উচ্চস্তরে নেয়া) , তোমার কাছে প্রকাশ করিতেছি , আর ইহা দ্বারা তোমার কাছে আসিয়াছে হক কথা ও তোমাদের জন্য আসিয়াছে উপদেশ ও সতর্কবানী।
অর্থাৎ Brain/ Intelligency / জ্ঞ্যান বাড়িয়াছে / মজবুত করেছি বুদ্ধিকে /ফুয়াদাকে তোমার আত্মশক্তি /মনকে/ হৃদয়কে Firm/ Strengthen করেছি ফুয়াদাকে ।
অর্থাৎ Brain/ Intelligency / জ্ঞ্যান বাড়িয়াছে / মজবুত করেছি বুদ্ধিকে /ফুয়াদাকে তোমার আত্মশক্তি /মনকে/ হৃদয়কে Firm/ Strengthen করেছি ফুয়াদাকে ।
২৫:৩২> কাফেররা বলিলো, কেনো তার প্রতি একবারেই সম্পুর্ন কোরআন অবতীর্ন হয় নাই? আর এভাবেই আমি তোমার আফ্য়েদাহ / হৃদয়ে শক্ত/মজবুত/ Firm করার জন্য নাজিল করি ও ধীরে ধীরে তারতিলা / আবৃত্তি করিয়াছি (২৫:৩৩) ওরা তোমার কাছে কোন সমস্যা হাজির করিলে আমি তার সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা তাফ্সির জানাই।
[ ২:৯৭ ] কোরআন অবতীর্ন করেছি তোমার কল্বে । এজন্যই ফুয়াদাকে মজবুত করা যেন কল্বে ভয় না হয় , সাহস হয় আত্মশক্তি বৃদ্ধি পায়। অর্থাৎ কল্বকে শান্ত রাখার জন্য ফুয়াদাকে শক্তিশালী ভিত্তির উপর অধিষ্ঠিত করা। কলব যখন শান্ত তখন সিদ্ধান্ত হবে সঠিক।
কলব এবং ফুয়াদা তখন সুদুরকে সিদ্ধান্ত মজবুত ভাবেই জানাবে তখন সুদুর নিশ্চিত ভাবে তার এলেমকে কাজে লাগাবে / আকল কে কাজে লাগাবে- অর্থাৎ মস্তিষ্কো কে ব্যবহার করবে। গভীর বুধিমত্তার পরিচয় প্রকাশ পাবে ।
কলব এবং ফুয়াদা তখন সুদুরকে সিদ্ধান্ত মজবুত ভাবেই জানাবে তখন সুদুর নিশ্চিত ভাবে তার এলেমকে কাজে লাগাবে / আকল কে কাজে লাগাবে- অর্থাৎ মস্তিষ্কো কে ব্যবহার করবে। গভীর বুধিমত্তার পরিচয় প্রকাশ পাবে ।
১৪:৩৭> আয় রব্ব! আমার (ইবাহিম আঃ এর দোয়া) কতক বংশধর দিকে বসবাস করাইলাম অনুর্বর উপত্যকায় তোমার পবিত্র গৃহের সন্নিকটে, আয় রব্ব! তা এজন্যে ওরা যেন সলাত কায়েম করে, তাই কিছু লোকের আফইদা ওদের প্রতি অনুরাগী করে এবং ফলমূল দ্বারা ওদের রিজিকের ব্যবস্থা করো যাতে ওরা কৃতজ্ঞ থাকে।
• যেনো কারো আক্রোশে নিপতিত না হয়
• যেনো সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়/affection
• কাছের কিংবা দূরের সবাই যেনো তাদের প্রতি খুশি থাকে।
(ভাবুন তোঃ মক্কার অবস্থা- সাড়া দুনিয়া থেকে যাবতীয় খাদ্য সমগ্রী কি ভাবে এখনো পৌঁছে যাচ্ছে) । কারন ঐ দোয়ার ফাজিলতে সাড়া দুনিয়ার মানুষের আফঈদা মক্কা মদিনার বাসিন্দাদের প্রতি অনুরাগী রয়েছে, ব্যাবসাও করছে ।
• যেনো কারো আক্রোশে নিপতিত না হয়
• যেনো সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়/affection
• কাছের কিংবা দূরের সবাই যেনো তাদের প্রতি খুশি থাকে।
(ভাবুন তোঃ মক্কার অবস্থা- সাড়া দুনিয়া থেকে যাবতীয় খাদ্য সমগ্রী কি ভাবে এখনো পৌঁছে যাচ্ছে) । কারন ঐ দোয়ার ফাজিলতে সাড়া দুনিয়ার মানুষের আফঈদা মক্কা মদিনার বাসিন্দাদের প্রতি অনুরাগী রয়েছে, ব্যাবসাও করছে ।
১৪:৪২> তুমি এ প্রকার আদৌ ভাবিও না, জালেমরা যা করে আল্লাহ্ তাতে অনবহিত/অবহিত নন < আল্লাহ্ সব অবহিত>; তবে আল্লাহ্ তাদিগকে চক্ষুস্থির হওয়ার দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিবেন। [মৃত্যুকাল পর্যন্ত] ৪৩> তখন ভয় বিহবল চিত্তে হীনভাবে উর্ধদিক চাহিয়া ইতস্তত ছুটাছুটি করিবে, ওদের নিজের দিকে পর্যন্ত খবর থাবিবে না/ নিজের দিকে দৃষ্টি থাকিবেনা-তাদের আফ্য়েদা শূন্য/খালি/বিকল/ হাওয়া হবে।
অর্থাৎ মৃত্যুর সময় মানুষের যে অবস্থা হয়, চারিদিকে আপনজনেরা থাকে, কান্নাকাটি করে হা হুতাশ করে কিন্তু তখন নিজেরই হুশ থাকেনা, জ্ঞান লোপ পায়, আফ্য়েদাহ তার বিকল হয়- চোখ বিক্ষিপ্ত ভাবে ঘুরে : নিজের প্রতিও খবর থাকেনা। [ যে মারা যায় সেও অসহায় ভাবে হা হুতাশ করে আমরা যারা পাশে থাকি , আমরাও হা হুতাশ করি] কিন্তু আসল ঈমান্দার বা মুত্তাকি বান্দার স্বাভাবিক বুদ্ধিদীপ্ত মৃত্যু দেখেছেন কি? সবাইকে বলে কান্নাকাটি করো না, জন্মিলে মরিতে হইবে । যেমন রাসুল সাঃ শেষ মুহূর্তেও বললেন কতগুল জ্ঞ্যানের কথা ।
সারকথাঃ
আফ্যেদা বা বুদ্ধিমত্তা মজবুত হলে কলব বা মন মজবুত হয়, আফ্যেদা দুর্বল হলে কলব বা মন দুর্বল হয় । মন দুর্বল হলে রূহ পরাজিত হয় তখন দেহ তথা জাগতিক শক্তি জয়লাভ করে । ইন্দ্রীয় শক্তি তথা দেহ তাঁর চিরায়িত চাহিদা পুরনে ব্যস্ত হয়, শয়তান সুদুরে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষটি নিজে শয়তানের তাবেদার হয় তথা ইচ্ছার দাস হয় । এই সকল রূহ মরনের সময়, মরনের ফেরেস্তাদের দেখে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পালায়, ফলে ফেরেস্তারা পিটিয়ে পিটিয়ে রূহ কে পাকড়াও করে নিয়ে যার । শয়তানের সুরসুরিতে ইচ্ছার গোলামী করে চোখ, কান, আফঈদা সঠিক পথে চলে নাই, সুদুর অন্তরকে , অন্তর রূহ কে ধোঁকা দিয়ে বাধ্য করেছে পাপের পথে চলতে । তাই সর্বদা কাজে, কর্মে, ইবাদতে, অবসরে আল্লাহ কে মনে ধারন করতে হবে, ভয় করতে হবে পকালের বিচারের ।
অর্থাৎ মৃত্যুর সময় মানুষের যে অবস্থা হয়, চারিদিকে আপনজনেরা থাকে, কান্নাকাটি করে হা হুতাশ করে কিন্তু তখন নিজেরই হুশ থাকেনা, জ্ঞান লোপ পায়, আফ্য়েদাহ তার বিকল হয়- চোখ বিক্ষিপ্ত ভাবে ঘুরে : নিজের প্রতিও খবর থাকেনা। [ যে মারা যায় সেও অসহায় ভাবে হা হুতাশ করে আমরা যারা পাশে থাকি , আমরাও হা হুতাশ করি] কিন্তু আসল ঈমান্দার বা মুত্তাকি বান্দার স্বাভাবিক বুদ্ধিদীপ্ত মৃত্যু দেখেছেন কি? সবাইকে বলে কান্নাকাটি করো না, জন্মিলে মরিতে হইবে । যেমন রাসুল সাঃ শেষ মুহূর্তেও বললেন কতগুল জ্ঞ্যানের কথা ।
সারকথাঃ
আফ্যেদা বা বুদ্ধিমত্তা মজবুত হলে কলব বা মন মজবুত হয়, আফ্যেদা দুর্বল হলে কলব বা মন দুর্বল হয় । মন দুর্বল হলে রূহ পরাজিত হয় তখন দেহ তথা জাগতিক শক্তি জয়লাভ করে । ইন্দ্রীয় শক্তি তথা দেহ তাঁর চিরায়িত চাহিদা পুরনে ব্যস্ত হয়, শয়তান সুদুরে কুমন্ত্রনা দেয় মানুষটি নিজে শয়তানের তাবেদার হয় তথা ইচ্ছার দাস হয় । এই সকল রূহ মরনের সময়, মরনের ফেরেস্তাদের দেখে শরীরের বিভিন্ন স্থানে পালায়, ফলে ফেরেস্তারা পিটিয়ে পিটিয়ে রূহ কে পাকড়াও করে নিয়ে যার । শয়তানের সুরসুরিতে ইচ্ছার গোলামী করে চোখ, কান, আফঈদা সঠিক পথে চলে নাই, সুদুর অন্তরকে , অন্তর রূহ কে ধোঁকা দিয়ে বাধ্য করেছে পাপের পথে চলতে । তাই সর্বদা কাজে, কর্মে, ইবাদতে, অবসরে আল্লাহ কে মনে ধারন করতে হবে, ভয় করতে হবে পকালের বিচারের ।
ধন্যবাদান্তে,
শাহা আলাম, তেজগাও, ঢাকা । তাং ১৫/৫/২০২০
Email: atcdhaka@gmail.com
শাহা আলাম, তেজগাও, ঢাকা । তাং ১৫/৫/২০২০
Email: atcdhaka@gmail.com
Comments
Post a Comment