Hardware and Software of a Human being . মানব দেহের দৃশ্যমান অদৃশ্যমান অঙ্গ এবং প্রভাবক শয়তান
এই মানব দেহ নামক সিস্টেম চালানোর ম্যানুয়ালের নাম আল-কুরআন । পাওয়ার যিনি দিয়েছেন তিনিই পাওয়ার অফ করবেন । কিন্তু নফস যদি চায় সেলফ অফ করবে তবে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার মিলে নিজের পয়াওয়ার নিজেই অফ করতে পারে । যা নিষেধ । যত ধরনের ভাল কাজ আছে তা প্রেসিডেন্ট করবে এই মর্মে সে নির্দেশিত । কিন্তু তার চির শত্রু এবং বহিস্তঃ দেহ তথা দুনিয়ার লোভ, দেহের চাহিদা ইত্যাদির কারনে রুহের আদেশ ভুলিয়া শয়তানের লোভনীয় ফাঁদে পরে সুদুরের মাধ্যমে প্রথমে কলব এবং পরে রূহ কে প্রভাবিত করে পুরো সিস্টেম কে ভুল পথে নিয়ে যায় । রূহ যদি ছোট খাটো বিপদে পরে তৌবা করে ফিরে আসে তবেই রক্ষা, না হলে চির তরে ক্ষতিগ্রস্থ ।
***********************নফস*********************
মানব দেহ একটি রাজ্য, এই রাজ্যের বাদশার নাম রূহ ।এই রাজ্য ও বাদশার সৃষ্টি কর্তা, পালন কর্তা আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তায়ালা । এই রাজত্তের নাম নফস । এই নফস নামক রাজত্তের রূহ নামক বাদশার অনেক ক্ষমতা । সে তার রাজ্যে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে, কিন্তু আল্লাহ যা চাহেন । অর্থাৎ তার দৈনন্দিন কর্ম সমুহ দেখা হয়, এবং রিপোর্ট প্রতিমুহূর্তে লেখা হয় । কিন্তু এই নফসের রাজত্বকাল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য । সময় শেষে মাটির রাজ্য মাটিতেই মিশে যাবে, আর এই নিয়োগ প্রাপ্ত বাদশা তার প্রকৃত মহান বাদশার নিকট ফিরিয়ে নেয়া হবে ।
রূহ নামক বাদশাকে যখন মানব নামে রাজ্যে পাঠানো হয়, তখন তাকে এই রাজ্যের যাবতীয় নিয়ম কানুন, বিধি-নিষেধ সবই শিখিয়ে দেয়া হয়। এই সম্রাজ্যের মিত্র আছে আবার শত্রুও আছে । কেহ সম্রাজ্যের ভিতরের, কেহ বাহিরের, কাহাকেও দেখা যায়, কাহাকেও দেখা যায় না।
ভাল মিত্ররা সাহায্য করে যেন রাজ্যের মালিক (রূহ) ভাল থাকে এবং রাজ্যের সবাই ভাল থাকুক ।
ভাল মিত্ররা সাহায্য করে যেন রাজ্যের মালিক (রূহ) ভাল থাকে এবং রাজ্যের সবাই ভাল থাকুক ।
কিন্তু শত্রুরা চায় সম্রাজ্যের সব কিছু তাদের খেয়াল খুশি মত চলুক, রাজ্য এবং বাদশা (নফস) তাদের হয়ে যাক । এই শত্রু বাদশার অচেনা নয়, সে চির পরিচিত স্বঘোষিত শত্রু বিতারিত ইবলিশ ।
বাদশার বাদশাহী যখন শেষ হবে তখন তার মালিক তাকে ফেরত নিয়ে যাবেন, এত দিনের কর্ম অনুযায়ী তাকে তার প্রাপ্য অবস্থানে রাখবেন কিয়ামতের পর আবার তার রাজ্যে বসিয়ে সব কিছুর হিসাব নিবেন ।এসব বিষয় বাদশার অজানা নয় । কিন্তুঃ
বাদশা (রূহ) যেদিন থেকে যখন তার মায়ের গর্ভে তার নিজস্ব রাজ্যে (মানব দেহে) এলো, অতঃপর দুনিয়ার মহা রাজ্যে পদার্পণ করল সেদিন সবাই কত খুশি, কত আনন্দ । কিন্তু যে শিশু সে কি করে
সব বুঝবে ।১। বাবা মা প্রথমেই ঐ মানব শিশুর একটা নাম দিল যেমনঃ যায়েদ । অর্থাৎ ঐ মানব শিশুর (দেহ+রুহ) একটা পরিচয় হল নাম তার যায়েদ । এই যায়েদ এখন পরিচয় সম্পন্ন একটা সত্ত্বা বা নফস, নাম তার যায়েদ । যায়েদ যখন বড় হতে লাগলো তখন থেকেই বাবা মা ১।বিভিন্ন নিয়ম কানুন শিখাতে লাগলো । অর্থাৎ তার মধ্যে এই মহাজগতে চলার জন্য এলেম বা জ্ঞ্যান দিতে লাগলো, প্রশ্ন করা শিখতে লাগলো, এটা কি, ওটা কি, এটা দিয়ে কি হয়, ওটা দিয়ে কি হয়, কেন । কিছু দিন যেটে না যেতেই যায়েদ নিজ থেকে কিছু বলা ও করা শিখতে লাগলো – তার জ্ঞ্যান বা এলেম বাড়তে লাগলো ৩। এর পর সে নিজেই বলা শিখলো এটা করা যাবে, এটা করলে ভাল হবে, এটা করা যাবে না, এটা করলে মা রাগ করবে ইত্যাদি বিচারিক জ্ঞ্যান বা হিক্মাহ তার মধ্যে আসতে লাগলো ।৩। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে তার তাৎক্ষণিক বিচার বুদ্ধি প্রকাশ করতে লাগলো – অর্থাৎ তার আকল বা বিবেক প্রকাশ পেতে লাগলো । ৪। যায়েদের নিজস্ব পছন্দ, চাহিদা, ইচ্ছা ইত্যাদি আকাংখার বিষয়টিও পরিলক্ষিত হতে লাগলো ।
সব বুঝবে ।১। বাবা মা প্রথমেই ঐ মানব শিশুর একটা নাম দিল যেমনঃ যায়েদ । অর্থাৎ ঐ মানব শিশুর (দেহ+রুহ) একটা পরিচয় হল নাম তার যায়েদ । এই যায়েদ এখন পরিচয় সম্পন্ন একটা সত্ত্বা বা নফস, নাম তার যায়েদ । যায়েদ যখন বড় হতে লাগলো তখন থেকেই বাবা মা ১।বিভিন্ন নিয়ম কানুন শিখাতে লাগলো । অর্থাৎ তার মধ্যে এই মহাজগতে চলার জন্য এলেম বা জ্ঞ্যান দিতে লাগলো, প্রশ্ন করা শিখতে লাগলো, এটা কি, ওটা কি, এটা দিয়ে কি হয়, ওটা দিয়ে কি হয়, কেন । কিছু দিন যেটে না যেতেই যায়েদ নিজ থেকে কিছু বলা ও করা শিখতে লাগলো – তার জ্ঞ্যান বা এলেম বাড়তে লাগলো ৩। এর পর সে নিজেই বলা শিখলো এটা করা যাবে, এটা করলে ভাল হবে, এটা করা যাবে না, এটা করলে মা রাগ করবে ইত্যাদি বিচারিক জ্ঞ্যান বা হিক্মাহ তার মধ্যে আসতে লাগলো ।৩। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে তার তাৎক্ষণিক বিচার বুদ্ধি প্রকাশ করতে লাগলো – অর্থাৎ তার আকল বা বিবেক প্রকাশ পেতে লাগলো । ৪। যায়েদের নিজস্ব পছন্দ, চাহিদা, ইচ্ছা ইত্যাদি আকাংখার বিষয়টিও পরিলক্ষিত হতে লাগলো ।
এর মধ্যে দিনে দিনে যায়েদ বড় হচ্ছে, যায়েদের জ্ঞ্যান, আকল, হিকমাহও পরিপক্ক হচ্ছে । রাজ্যে ব্যাক্তিগত কিছু চাহিদা বেড়ে যাচ্ছে – সেই বাবা মাও বলছে তুমি নিজে এখন বড় হয়ে গেছো- নিজ থেকে কিছু কর – তমার রাজত্ব তুমি চালাও । তখন সে দেখল তাই তো রাজত্ব তো আমার আমিই রাজা । এই আমিই হল যায়েদ । সে বলতে লাগলো নিজে নিজে আমি যায়েদ “ নাফসি যায়েদ” ।
এই সময়ের মধ্যেই তার নিজস্ব রাজ্যের সাথে অন্যান্য অন্যান্য রাজ্যের তুলনা, কার কি আছে, আর আমার কি আছে, আমার নাই কেন, কি ভাবে আমার হবে, ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের চাহিদা প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির অনুভব এবং নিজের কাছে প্রশ্ন হতে লাগলো, কিছু উত্তরও পেতে লাগলো । তখন যায়েদ বাদশা বুঝতে পারলো তার রাজ্যে সুদুর নামের জ্ঞ্যান-বুদ্ধি সম্পন্ন দপ্তর আছে যা আমাকে এই সব চাহিদা এবং তা প্রাপ্তির বিভিন্ন কৌশল বলে দিচ্ছে । কিন্তু এই দপ্তরটি যে পরামর্শ দেয় তার সব কিছুতেই ভাল এবং মন্দ আছে ।
এই সময়ের মধ্যেই তার নিজস্ব রাজ্যের সাথে অন্যান্য অন্যান্য রাজ্যের তুলনা, কার কি আছে, আর আমার কি আছে, আমার নাই কেন, কি ভাবে আমার হবে, ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের চাহিদা প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির অনুভব এবং নিজের কাছে প্রশ্ন হতে লাগলো, কিছু উত্তরও পেতে লাগলো । তখন যায়েদ বাদশা বুঝতে পারলো তার রাজ্যে সুদুর নামের জ্ঞ্যান-বুদ্ধি সম্পন্ন দপ্তর আছে যা আমাকে এই সব চাহিদা এবং তা প্রাপ্তির বিভিন্ন কৌশল বলে দিচ্ছে । কিন্তু এই দপ্তরটি যে পরামর্শ দেয় তার সব কিছুতেই ভাল এবং মন্দ আছে ।
এবার সে আরেক জটিল বিষয়ের সম্মুখীন হলঃ সে যখন কোন কছু করতে যায়, ভয় পায়, তখন তার ত্বক শিহরিত হয়, বুক (সদর) ধরফর করে কেঁপে উঠে, আবার কোন কিছুর প্রাপ্তিতে বুক (সদর) খুশিতে ফুলে উঠে, মুখ খানা হাসি মুখ হয় ।কন্তু সে এ বিশয়টি ভাবতেই তার মধ্যে ভয় কাটানোর জন্য কে যেন সাহস দিল, অতি খুশিতে মেতে না উঠতে নিষেধ করলো, সে তৃপ্ত অনুভভ করলো। এর নামই ফুয়াদা বা আফইদা । যে যায়েদ এর বিশেষ জ্ঞ্যান ভাণ্ডার যা তার মহান রব্ব তাকে দিয়েছে । যখনই সুদুর তাকে বুদ্ধি দিবে তখনি সে তার ফুয়াদার সাথে বুদ্ধি করবে ।
যায়েদ বাদশাহ যখন একটু একা থাকে তখন সে অনুভব করে তার মধ্যেই কি এমন আছে যে কোন সৎ কাজ করলে ভাল লাগে, আর কোন অন্যায় করলে খারাপ লাগে । ভয়ংকর কিছু দেখলে বুকের মধ্যে কি একটা কেঁপে উঠে, যার সাথে সারাক্ষণ কথা বলি, কি করব কি করবো না ইত্যাদি যে আমাকে স্বরন করিয়ে দেয়, সে কে? তখন নিজ থেকেই শুনতে পায় আমি আপনার ইচ্ছা চাহিদা পূরণকারী এবং রাজ্যের প্রধান মন্ত্রী । আপনার ভাল মন্দের সাথী, কলব (মন/ হৃদয়) আমার নাম । আপনি বাদশা আর আমি আপনার রাজত্তের সবকিছু পরিচালনা করি । এতদিন পর্যন্ত সবকিছু আমিই করেছি এবং যতদিন আপনি আছেন ততদিন আমি আছি । আমাদের রাজত্ত আছে ।
যায়েদ এতদিনে বুঝতে শিখল সে তার কল্বের সাথেই সারাক্ষন আছে । এই কলবই আমার সবচেয়ে আপন সবচেয়ে দামি , গুরুত্ত পূর্ণ কর্মী । সেই তো আমার রাজ্য চালাচ্ছে, আমি তো বাদশা হয়ে সবাইকে চালাচ্ছি । খুব মাজা পেল বাদশা নফস ।
যায়েদ দেখল তার রাজ্য এখন স্বয়ং সম্পূর্ণ, সকল দপ্তর প্রস্তুত, কলব যা বলছে সবাই তাই করছে, আবার সবার সাথে আমি নিজে একান্তে কথা বলতে পারছি ।
যা দেখতে চাই চোখ আমাকে তা দেখাচ্ছে,
যা শুনতে চাই কান আমাকে তা শুনাচ্ছে,
যা বলতে চাই মুখ তা বলছে,
যা করতে চাই হাত তা করছে,
যেখানে যেতে চাই পায়ে হেঁটে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে,
কোন সমস্যা হলে কলব আমাকে তা বলে দিচ্ছে,
কোন কিছু সিন্ধান্ত নিতে সুদুর, আফইদা, এল্ম, আকল সবাই কাজে লেগে যাচ্ছে ।
এভাবে ভালই চলছিল যায়েদের রাজ্য ।
যা দেখতে চাই চোখ আমাকে তা দেখাচ্ছে,
যা শুনতে চাই কান আমাকে তা শুনাচ্ছে,
যা বলতে চাই মুখ তা বলছে,
যা করতে চাই হাত তা করছে,
যেখানে যেতে চাই পায়ে হেঁটে আমাকে নিয়ে যাচ্ছে,
কোন সমস্যা হলে কলব আমাকে তা বলে দিচ্ছে,
কোন কিছু সিন্ধান্ত নিতে সুদুর, আফইদা, এল্ম, আকল সবাই কাজে লেগে যাচ্ছে ।
এভাবে ভালই চলছিল যায়েদের রাজ্য ।
কিন্তু এর মধ্যে সবার সুদুরের পরামর্শে বাদশা অন্যের রাজ্যে গমনাগমন শুরু করেছে, সেখানে বাদশার ক্লান্তি দূর হচ্ছে, বাদশা আরাম , আনন্দ অনুভব করছে । তাই রাজ্যের অন্য কেহ কিছুই বলতে পারছে না, বাদশাকে । কিন্তু সুদুরের পরামর্শে বাদশা দিনে দিনে অনেকদুর এগিয়ে গেছে, এখন যে ফিরে আসা দায় । এর ফলাফল সরূপ একদিন বাদশা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ল, মর মর অবস্থা, কোন কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এলেম, আকল, হিক্মাহ, সুদুর, আফ্যেদা, বাহির জগতের জ্ঞ্যানী ডাক্তার, দামী ঔষধ কোন কিছুই কোন কাজে আসছে না । এমন অবস্থায় বাদশা সুদুর বাদে সবার সাথেই গোপনে পরামর্শ করলো, কেন এই রাজত্তের এ অবস্থা হোল ? কারন সুদুরের ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক সেই আমাকে ভুল পথে নিয়ে গেছে ।
এখন তার জ্ঞ্যান বলছে আপনি তো আমাকে বলার সময় দেননি, আকল বলে আপনি তো সুদুরের পরামর্শে সব করেছেন, হিকমাহর, আফ্যেদার বুদ্ধি নিলে কল্ব আপনাকে নিশ্চিতব বাধা দিত । এখন আর কোন উপায় নাই , নিজের কলব কে একান্তে জিজ্ঞেস করুন । কলব বললঃ এখন আমাদের রব্ব এর নিকট ক্ষমা ভিক্ষা ছাড়া আর কোন উপায় নাই । পরিশেষে যায়েদ বাদশা নিজে তার মহান প্রভুর নিকট ক্ষমা ভিক্ষা করলেন, মহান রাব্বুল আলামিন, গাফুরুর রাহিম তাকে ক্ষমা করলেন, বাদশা সুস্থ অনুভব করলো, যায়েদ রাজ্য তথা নফস( যাহেদের দেহ+যায়েদের মন) পরিতৃপ্ত হোল ।
এখন বুঝা গেল এই জায়েদ অনুতপ্ত বাদশা । অর্থাৎ সে নিজে ভুল করেছে, ভুল শিকার করেছে, ক্ষমা প্রার্থনা করেছে ।বাদশা এখন খুব সাবধানে চলে আর ভুল পথে পা দেয় না । সে সারাক্ষন তার রব্ব কে স্মরণে রাখে ।
জায়েদের কলব তাকে সরন করিয়ে দিলঃ হে আমার বাদশা আপনি সুদুরের পরামর্শে যে পাপ করেছেন আমরাও সবাই দায়ী, সেই কাজটি কি হোল আকলের নিকট থেকে একটু শুনুন ।
সেই আদিতে যখন আমাদের আদি পিতা মাতা জান্নাতে বসবাস করতেন, তাদের কে এক মহান রাজত্ত দেয়া হয়েছিল, যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেতে কোন বাধা ছিল না, কত সুখে ছিলেন তারা। কিন্তু সেখানে একটাই সীমা বা নিষেধ ছিল একটি নির্দিষ্ট গাছের নিকট না যেতে, কারন ওখানে গেলেই ঐ গাছের ফল খেতে ইচ্ছা হবে। যা হবে আদেশের অবাধ্য জনিত পাপ । তাদেরকে মহান আল্লাহ এটাও বলে ছিলেন শয়তান (বিতারিত ইবলিশ) তোমাদের স্বঘোষিত শত্রু, সে কিন্তু সদা সর্বদা তোমাদের নিয়ম কানুনের সীমা অতিক্রম করাবে, ভুল পথে নেবে । ঠিক একই ভাবে ঐ ইবলিশ যে আমাদের সকলের শত্রু, সে খুব চালাকি করে এলেম, হিক্মাহ, আফ্যেদা সবাইকে পাশ কাটিয়ে একমাত্র সুদুর কে ফুসলিয়ে (ওয়াসআছা) আপনাকে দিয়ে সীমা অতিক্রম করিয়েছে ।
ইবলিস যেহেতু আমাদের রাজ্যের শত্রু, সে আপনার আমার, কল্বের, আফিদা, সুদুর, হিক্মাহ, এলেম এমন কি আমরা যে দেহ নামক রাজ্যে আছি তার প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মাদ্ধ্যমে আমাদের ক্ষতি করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যেন আমরা আমাদের প্রভুর নিকট ফিরতে না পারি, সেই প্রিয় জান্নাতে যেতে না পারি, যেখান থেকে আমাদের পিতা মাতাকে বের করে দিতে বাধ্য করছিল ।
যেহেতু হে বাদশা যায়েদ (নফস) আপনাকে যেহেতু আপনার সর্ব বিষয়ে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন, যেখানে সাধ্য খুশিমত যেতে পারেন, আমাদের যার সাথে ইচ্ছা পরামর্শ করতেও পারেন নাও করতে পারেন । তবুও যেনে নিনঃ
ইবলিশ আমাদের চেনা শত্রু – তার উদ্দেশ্য হোল আমদেরকে আমাদের প্রভুর পথ থেকে বিপথগামী করা । এ উদ্দেশ্য সে তার ইচ্ছা বা প্রবৃত্তি আরবিতে বলে আহঅয়া শক্তিকে আমাদের আসচেতনার সুযোগ নিয়ে আপনাকে দিয়ে আমাদের মাধ্যমে খারাপ কাজ, পাপ কাজ এমন কি শিরকের মত অবাধ্য কাজ করিয়ে ফেলে ।
সুদুর – সে আপনার পরামর্শ দাতা, সে বাইরের জগতের বিষয় গুলো আপনার নিকট লোভনীয় করে আপনাকে সহ আমাদের বিপদে ফেলতে পারে, আবার সবাই সতর্ক থাকলে সে তা পারবে না ।
শয়তান যেন আপনার জ্ঞ্যান, হিক্মাহ, এবং সুদুরের মাধ্যমে কলবে কোন রকম কু পরামর্শ দিতে না পারে এর জন্য আপনি আপনার বিচারিক দপ্তরের প্রধান হিক্মাহ কে মজবুত করুন, দেখবেন সুদুর সহজে কলবে কিছু সুরসুরি দিতে সাহস পাবে না।
এমন অবস্থায় শয়তান দেখলো সুদুর, হিক্মাহ অর্থাৎ বিচারপতি পর্যন্ত আমার পরিচয় ভাল ভাবেই জেনে গেছে । এখন প্রধান মন্ত্রী তথা কলব কে হাত করতে হবে তবেই বাদশাকে আবার কুপকাত করা যাবে । কিন্তু শয়তানের চিরাচরিত অভ্যাস মত তার দলবল সহ জ্ঞ্যানের মধ্যে ভুল ধারনা প্রবেশ করাতে সচেষ্ট থাকলো, হিক্মাহ কে কিভাবে লোভ দিয়ে বশে আনা যায়, আকল কে কি ভাবে বোকা বানানো যায় তা করতে লাগলো ।
জায়েদের কলব তাকে সরন করিয়ে দিলঃ হে আমার বাদশা আপনি সুদুরের পরামর্শে যে পাপ করেছেন আমরাও সবাই দায়ী, সেই কাজটি কি হোল আকলের নিকট থেকে একটু শুনুন ।
সেই আদিতে যখন আমাদের আদি পিতা মাতা জান্নাতে বসবাস করতেন, তাদের কে এক মহান রাজত্ত দেয়া হয়েছিল, যেখানে ইচ্ছা সেখানে যেতে কোন বাধা ছিল না, কত সুখে ছিলেন তারা। কিন্তু সেখানে একটাই সীমা বা নিষেধ ছিল একটি নির্দিষ্ট গাছের নিকট না যেতে, কারন ওখানে গেলেই ঐ গাছের ফল খেতে ইচ্ছা হবে। যা হবে আদেশের অবাধ্য জনিত পাপ । তাদেরকে মহান আল্লাহ এটাও বলে ছিলেন শয়তান (বিতারিত ইবলিশ) তোমাদের স্বঘোষিত শত্রু, সে কিন্তু সদা সর্বদা তোমাদের নিয়ম কানুনের সীমা অতিক্রম করাবে, ভুল পথে নেবে । ঠিক একই ভাবে ঐ ইবলিশ যে আমাদের সকলের শত্রু, সে খুব চালাকি করে এলেম, হিক্মাহ, আফ্যেদা সবাইকে পাশ কাটিয়ে একমাত্র সুদুর কে ফুসলিয়ে (ওয়াসআছা) আপনাকে দিয়ে সীমা অতিক্রম করিয়েছে ।
ইবলিস যেহেতু আমাদের রাজ্যের শত্রু, সে আপনার আমার, কল্বের, আফিদা, সুদুর, হিক্মাহ, এলেম এমন কি আমরা যে দেহ নামক রাজ্যে আছি তার প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের মাদ্ধ্যমে আমাদের ক্ষতি করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যেন আমরা আমাদের প্রভুর নিকট ফিরতে না পারি, সেই প্রিয় জান্নাতে যেতে না পারি, যেখান থেকে আমাদের পিতা মাতাকে বের করে দিতে বাধ্য করছিল ।
যেহেতু হে বাদশা যায়েদ (নফস) আপনাকে যেহেতু আপনার সর্ব বিষয়ে স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন, যেখানে সাধ্য খুশিমত যেতে পারেন, আমাদের যার সাথে ইচ্ছা পরামর্শ করতেও পারেন নাও করতে পারেন । তবুও যেনে নিনঃ
ইবলিশ আমাদের চেনা শত্রু – তার উদ্দেশ্য হোল আমদেরকে আমাদের প্রভুর পথ থেকে বিপথগামী করা । এ উদ্দেশ্য সে তার ইচ্ছা বা প্রবৃত্তি আরবিতে বলে আহঅয়া শক্তিকে আমাদের আসচেতনার সুযোগ নিয়ে আপনাকে দিয়ে আমাদের মাধ্যমে খারাপ কাজ, পাপ কাজ এমন কি শিরকের মত অবাধ্য কাজ করিয়ে ফেলে ।
সুদুর – সে আপনার পরামর্শ দাতা, সে বাইরের জগতের বিষয় গুলো আপনার নিকট লোভনীয় করে আপনাকে সহ আমাদের বিপদে ফেলতে পারে, আবার সবাই সতর্ক থাকলে সে তা পারবে না ।
শয়তান যেন আপনার জ্ঞ্যান, হিক্মাহ, এবং সুদুরের মাধ্যমে কলবে কোন রকম কু পরামর্শ দিতে না পারে এর জন্য আপনি আপনার বিচারিক দপ্তরের প্রধান হিক্মাহ কে মজবুত করুন, দেখবেন সুদুর সহজে কলবে কিছু সুরসুরি দিতে সাহস পাবে না।
এমন অবস্থায় শয়তান দেখলো সুদুর, হিক্মাহ অর্থাৎ বিচারপতি পর্যন্ত আমার পরিচয় ভাল ভাবেই জেনে গেছে । এখন প্রধান মন্ত্রী তথা কলব কে হাত করতে হবে তবেই বাদশাকে আবার কুপকাত করা যাবে । কিন্তু শয়তানের চিরাচরিত অভ্যাস মত তার দলবল সহ জ্ঞ্যানের মধ্যে ভুল ধারনা প্রবেশ করাতে সচেষ্ট থাকলো, হিক্মাহ কে কিভাবে লোভ দিয়ে বশে আনা যায়, আকল কে কি ভাবে বোকা বানানো যায় তা করতে লাগলো ।
Comments
Post a Comment