শয়তানের পায়ে পায়ে চলিও না / শয়তানের ইত্তেবা করিও না

শয়তান মানুষের স্বঘোষিত, বাস্ত্‌ব, আসল দুশমন ।
আমারা কত বইপত্র পড়ি, মারেফাত, সূফীতত্ত্ব, পিরতন্ত্র ইত্যাদি পড়ে রিপুর সন্ধান পাইঃ রিপু আমাদের নফসের শত্রু । তবুও বলি না আমার নিজের শত্রু আমি নিজেই । রিপুকে আমাদের শত্রু হিসেবে চিনেছি কিন্তু শয়তান যে আমাদের স্বঘোষিত দুশমন তা ভুলেই গেছি । অধিকাংশ তন্ত্রে মন্ত্রে তরিকতে ৬ রিপুর কথা আমরা জানি -তা হলঃ যে গুলো মূলতঃ শয়তানের ফাঁদ যা কুরআন বিভিন্ন ভাবে আমাদের সাবধান করেছে ।
১। কামনা – লালসা / মোহ / কাম (lust/ Desire)
২। ক্রোধ = রোষ/ উত্তেজনা ( anger/passion)
৩। লোভ = লিপ্সা/ লালসা/ (cupidity/ )
৪। মোহ = মায়া / বিভ্রম - (illusion)
৫। দম্ভ = মদ/অহংকার/আত্মগৌরব – (arrogance)
৬। দ্রোহ = বিদ্বেষ /পরশ্রীকাতরতা। - (Envy / hostality)
এসব বিষয়গুলো বিভিন্ন বইতে এমন ভাবে বর্ণনা যে শয়তানের কোন দোষ নাই, সব রিপুর তাড়না । আসলে শয়তানই যে এ গুলোর ধারক বাহক। রিপু অর্থ মানুষের শত্রু । আর কুরআন বার বার কত সহজভাবে আমাদের শত্রু শয়তানকে চিনিয়ে দিচ্ছে । আল্লাহ কুরআন মাজিদে আমার জানামতে প্রায় ৮৮ স্থানে বিভিন্ন ভাবে শয়তানের বিষয়ে উল্লেখ করেছেন । এই শয়তানের চরিত্র বৈশিস্ট জানিয়েছেন, যেন আমরা সাবধান হয়ে চলি । আমরা কুরআন না পড়ে – যাচ্ছি কোথায় ?
চিনি নাই তাই সাথে ছিলাম, চিনলে কি আর সাথে থাকতামঃ
ছোট শিশু প্রদীপের আগুনের শিখার দিকে শুধু হাত বাড়াতে চায়, এ দেখে মা বা দাদি হাতের আঙ্গুল নিয়ে সাবধানে হাল্কা তাপ লাগিয়ে দিলেন, বাচ্চাটি কিছুক্ষন কান্নাকাটি করলো । এই বাচ্চা আর কখনো আগুনের দিকে হাত বাড়াবে কি ?
ছেলে যুবক হতে চলেছে, ইচ্ছে মত বন্ধুদের সাথে ঘুরাফেরা করছে, একদিন বা দেখলেন মহল্লার সবচেয়ে বখাটে ছেলের সাথে আড্ডা দিচ্ছে । বাবা মা ছেলেকে অনেক বুঝালেন ছেলে শুনে না। পরবর্তীতে, ঐ দুষ্টের পূর্বের মামলায় পুলিশের হাতে দুজনেই ধরা পড়লো । পুলিশ এই ছেলেটিকে রিমান্ডে তিন্ দিনে আধামরা করে তারপর জামিন দিল । এই ছেলে, ঐ ছেলের সাথে আর কোনদিন চলবে কি ?
ভালুক এবং ঐ দুই বন্ধুর গল্পে প্রকৃত শত্রুর পরিচয় পাওয়া গেছে কি?
আল্লাহু সুবহানাহু অয়া তায়ালা আমাদের এই দুনিয়ার সবকিছু আমাদের অধীন করে দিয়েছেন, চলার জন্য যা কিছু প্রয়োজন সবই দিয়েছেন । ভাল মন্দের জ্ঞ্যান দিয়েছেন । ধনী গরিবের ব্যবধান করেছেন, যেন একজন আরেকজনের সেবা নিতে ও দিতে পারে । উদ্দেশ্য যে যার স্থান থেকে দায়িত্ত পালন করলো কিনা আল্লাহ দেখবেন, আর দুনিয়ার কর্মও সুশৃঙ্খল হবে ।
শয়তান কেন আমাদের শত্রু, কে এই শয়তান ?
ইবলিস ছিল জীন গোত্রের, সে রব্বের অনুগ্রহে ফেরস্তাদের সামিল হোল, জান্নাতে স্থান হোল । তার মধ্যে কিছু একাটা লুকানো ছিল, যা আল্লাহ জানেন, ফেরেস্তারা জানবে কি ভাবে। আল্লাহ বললেন আদম তথা পৃথিবীতে খলিফার কথা, ফেরেস্তারা মন্তব্য করলো আল্লাহ বললেন আমি যা জানি তোমরা তা জানো না । সবাইকে আদেশ করলেন আদমকে সিজদা করো । ইবলিস ছাড়া সবাই সিজদা করলো । ইবলিস আল্লাহর আদেশ অমান্য করলো । সে বিতারিত ও অভিশপ্ত হোল। আল্লাহর ঐ কথাই প্রমান করে দেখালেন “ আমি যা জানি, তোমরা তা জানো না” । অর্থাৎ তোমাদের মধ্যে যে ইবলিশ ছিল তার মধ্যে গর্ব / অহঙ্কার ছিল , আমি জানতাম তোমরা ত জানতে না । এখন তো দেখলে । সে হোল অভিশপ্ত বা শয়তান, বিতারির বা রাজিম । অর্থাৎ যে বিতারিত অভিশপ্ত বা শাইতানির রাজিম, সে আমাদের প্রমানিত প্রকাশিত স্বঘোষিত আসল আদি শত্রু । তাকে শত্রুর মতই জানতে ও চিনতে হবে ।
আল্লাহ আমাদেরকে ভাল মন্দের অনেক সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, সীমানা অতিক্রম করলেই আপনি শয়তানের অনুসরণ করতে বাধ্য হবেন ।
আমাদের আদি পিতা মাতাকে আল্লাহ বললেন ঐ গাছের নিকটেও যাইবে না। আল্লাহ বলেন নাই ফলের কথা, ফল খাইবে না, খাইলে কি হইবে ইত্যাদি ইত্যাদি । অর্থাৎ যথা ইচ্ছা তথা গমন কর, যেমন খুশি তেমন চল, যা ইচ্ছা তাই করো, কিন্তু, কিন্তু ঐ গাছের কাছেও যাইও না। অর্থাৎ চলাফেরা, খাওয়া দাওয়া, হাসি আনন্দ সবই আদেশের অনুরুপ হবে, শুধু শুধু , সীমা অতিক্রম করা যাবে না। এখানে গাছের নিকট যাওয়া, না যাওয়া ছিল সীমানা । যখনই তারা আল্লাহর কথার অবাধ্য হইল, সীমা অতিক্রম করলো তখনই তারা শয়তানের ফাঁদে আটকে গেল । পরিণতি যা হওয়ার তাই হইল । তাহলে, আমাদের শিক্ষা হলঃ সীমানা বিষয়টি মনে রাখতে হবে । আল্লাহ বলেছেন করতে, করবেন । আল্লাহ নিষেধ করেছেন না করতে, করবেন না । সহজ হিসাব ।
শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন না করাঃ
ছোট বেলায় মেয়েকে নাচ গান শিখালেন মনের আনন্দে, মহল্লার অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে সবার অগহে একটু নাচলো, পরুস্কার আনল ভালই বাহবা পেল। এই ভাবে মেয়ে বুঝতে শিখলো, কলেজের অনুষ্ঠানে ভালই নাচ গান করতে লাগলো । পরের বছর বিদেশে এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রন পেল, মা রাজি হলেও আপানি রাজি না, এখন কি করবেন ।
কুরআনের অনেক আয়াত ঘুরে ফিরে একই কথাই বিভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করে, যেন আমরা বুঝি , মানি । এ রকম একটি আয়াতাংশঃ
وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ
শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না / শয়তানের পায়ে পায়ে চলিও না / শয়তানের ইত্তেবা করিও না । (২:১৬৮, ২০৮, ৬:১৪২, ২৪:২১)
এখানে ২৪:২১ আয়াতটি তুলে ধরছিঃ
হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা (বেহায়াপনা/ অবৈধ সম্পর্ক/ কামাচার) ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে। যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের প্রতি না থাকত, তবে তোমাদের কেউ কখনও পবিত্র হতে পারতে না। কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন। আল্লাহ সবকিছু শোনেন, জানেন ( আসলে হবেঃ আল্লাহ জ্ঞ্যানী শ্রোতা)।
যদি কেহ ভুল পথে চলেও বুঝতে পারে এবং ফেরত আসে, আল্লাহকে ডাকে তবে আল্লাহ তো সবই দেখেন, সবই শুনেন । এবং আমি যে মন থেকে ভুলের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি তাও আল্লাহ জানেন । আর আল্লাহ ছাড়া কেঊ আছে কি পাপমুক্ত করার ।
কিন্তু যদি শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন করে, এবং করতেই থাকে তবে সে তাকে পাপের পথ খুলে দিবে, ধীরে ধীরে অতি কৌশলে ১। নির্লজ্জতা ২। অবাধ্যতা ৩। কুকার্য ৪। মিথ্যাবাদীতা, ৫। অপচয় ইত্তাদিতে ডুবিয়ে দিবে, ততক্ষণে বুঝতে বুঝতে অনেক দেরি হয়ে যাবে ।
শয়তানের কিছু রুটিন মাফিক কাজঃ
২৫:২৮,২৯... শয়তান মানুষের জন্য অপদস্থতা কারী ।
১৭:২৬,২৭> আর ধন / সম্পদ অযথা অপচয় করিও না, অপচয়কারীগন শয়তানের ভাই ।
২৬ঃ২২১,২২২> ...কার কাছে শয়তান অবতীর্ন হয়? ওরা অবতীর্ন হয় ঘোর অসৎ ও মিথ্যাবাদীদের কাছে ।
যদি এ অবস্থায় কেউ পরেই যান তবে ভুল বুঝার সাথে সাথে আপনাকে তৌবা করতে হবে । যেহেতু আল্লাহ ক্ষমাকে নিজের উপর অবধারিত করে নিয়েছেন তাই তিনি আপানার উপর রহম করে পাপমুক্ত করবেন । যেমন আমাদের আদি পিতা মাতা করেছিলেন , ক্ষমাও পেয়েছিলেন । আর আল্লাহ ছাড়া আর কেহ আছে কি ক্ষমা করার ।
৫৯:১৬> তারা (অবিশ্বাসীরা) শয়তানের মত, যে মানুষকে কাফের হতে বলে। অতঃপর যখন সে কাফের হয়, তখন শয়তান বলেঃ তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি বিশ্বপালনকর্তা আল্লাহ তা’য়ালাকে ভয় করি।
কখন শয়তান আমাদের নিকটে আসে?
৪৩:৩৬>যে ব্যক্তি দয়াময় আল্লাহর স্মরণ থেকে চোখ ফিরিয়ে নেয় (স্মরণ থেকে বিচ্ছিন্ন হলে ), আমি তার জন্যে এক শয়তান নিয়োজিত করে দেই, অতঃপর সে-ই হয় তার সঙ্গী।
৪৩:৩৭> শয়তানরাই মানুষকে সৎপথে বাধা দান করে, আর মানুষ মনে করে যে, তারা সৎপথে রয়েছে।
৪৩;৬২> শয়তান তো তোমাদের অচেনা নয়
 শয়তান মানুষের প্রকাশ্য / চেনা/ পরিচিত/ স্বঘোষিত শত্রু
 আল্লাহর পথ হইতে (সিরাতুল মুস্তাকিম) হতে বিচ্ছিন করার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ।
৭:২৭> যে আল্লাহ কে মানে না / বেঈমান্দার শয়তানের বন্ধু ।
দেখুন শয়তান শেষ বিচারের সময় কি বলবেঃ
৫০:২৭> তার (অপরাধীর) সঙ্গী শয়তান বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমি তাকে অবাধ্যতায় লিপ্ত করিনি। বস্তুতঃ সে নিজেই ছিল চরম পথভ্রান্তিতে লিপ্ত।
অর্থাৎ সিনেমা হলে জোর করে ঢুকাইনি, সে নিজেই বাড়ি থেকে এই কাজে এসেছে, সে নিজেই নেটে ঘেটে ঘুটে খারাপ কিছু দেখেছে, আসলে সে নিজে একটু খারাপ আর বাকিটা শয়তানের সুরসুরি ।
রাগ/ ক্রোধঃ
৭:২০> শয়তানের পক্ষ হইতে তোমার মনে/ কলবে কোন ক্রোধের প্রেরনা যখনি জাগিবে , (তখনি) আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থী হইবে, তিনি শুনেন, জানেন ।
ভয়ঃ
৩:১৭৫> তোমাদিগকে শয়তানই তার বন্ধুজনের ভয় দেখায় অর্থাৎ শয়তানের বন্ধু শয়তান (৭:২৭, ৫০:২৭) , তাই তোমরা বিশ্বাসী / ইমান্দার হলে, ওদিগকে (শয়তানের বন্ধু মানুষরূপী শয়তানকে) ভয় করিও না, ভয় কর আমাকেই ।
আয়াত থেকে বুঝা যাচ্ছে, ভয় এবং রাগের উৎপত্তি শয়তানই ঘটায়, ইহা শয়তানী কর্ম ।এটা মুমিনদের বুঝে সতর্ক থাকতে হবে । অর্থাৎ আমাদের শত্রুকে সদা সতর্কতার সাথে মকাবেলা করতে হবে ।কারন সে স্বঘোষিত শত্রু ।
শয়তান আমাদের ভুলিয়ে দেয়ঃ
চুলায় ভাত রান্না হচ্ছে- আগুনের কাজ আগুন করছে, বাতাসের কাজ বাতাস করছে, আগুনের তাপে পানি ফুটছে, এই ফাঁকে এখন আপনি যদি টিভির নাটকে ডুবে যান (শয়তান মত্ত করে রাখে) ভাত পুরে ঘন্ধ বের হয়ে আপনাকে স্মরণ করায় তখন দোষ কি শয়তানের না কি আপনার নিজের অসাবধানতা ?
বাঁচার উপায়ঃ
৬:৬৮> ... যদি শয়তান তোমাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে বসিও না ।
২৩:৯৭,৯৮> وَقُل رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ
বলুনঃ হে আমার পালনকর্তা! আমি শয়তানের প্ররোচনা থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি,
২৩:৯৮> وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ
এবং হে আমার পালনকর্তা! আমার নিকট তাদের উপস্থিতি থেকে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করি।
(Rabbi auzu bika min hamazatissayatin, oa auzubika rabbi aiyahzurun – রাব্বি আউযুবিকা মিন হামাযাতিসসাইয়াতিন অয়া আউযুবিকা রাব্বি আইয়াহযুরুন)
সলাতে কুরআন পাঠের সময়ও শয়তান আক্রমন করে কি?
শয়তান শুধু আমাদেরকে নয় , পূর্বের নাবি-রাসুল গনের তেলাওয়াতেও কিছু মিশিয়ে দিত, মনে হবে ঠিকই পড়ছি, কিন্তু ঠিক নাই । যেমন মনে হবে সুরা ফাতিহা পড়েছি, পরে সন্দেহ হবে পড়ি নাই । অনেকের আবার রাকাত সংখ্যাও ভুল হয়ে যায় ।
সমাধানঃ যখনই মনে হবে তখনই আউযুবিল্লাহি পড়বেন, মনোযোগ দিয়ে পুনরায় কাজটি করতে থাকবেন, ছাড়বেন না ।
সাহসের কথাঃ
১৬:৯৯, ১০০> ইমান্দারদের উপর শয়তানের কোনই ক্ষমতা নাই...শয়তানের ক্ষমতা তাদের উপর যারা তাকে মুরুব্বী ধরে এবং আল্লাহর সাথে শরিক করে ।
কথাটি খুব সহজই মনে হোল কিন্তু আপনি আল্লাহর সাথে কুফরি করে সুদের টাকা ব্যবহার করছেন, বিচার করছেন ঘুষ খেয়ে, কথা দিয়ে কথা রাখছেন না, তাহলে আপনার উপর কার ক্ষমতা কাজ করছে, আপনি কার ইত্তেবা করছেন, মুরুব্বী কাকে ধরেছেন?
৪৩:৬২> শয়তান তোমাদের পথ রোধ করে না, সে তো তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু । (১২:৫, ৩৬:৬০, ৭:২২, ৭:৩৪)
যে চিহ্নিত শত্রু তার ধারে কাছেও যাবেন কি? অথবা শত্রুকে মোকাবেলা করার শক্তি নিয়েই যাবেন, অথবা ঐ পথে যাবেন না। কিন্তু আপনি দৈনন্দিন কাজে সেই মহা শত্রু শয়তানের পাতা ফাঁদেই পদে পদে হাঁটছেন, আর ডাকছেন আল্লাহকে । কথা গুলো কেমন কেমন লাগলেও, যদি তা আপনাকে সরল সঠিক পথে ফিরতে সাহায্য করে তবেই এই লেখাটি আপানার পড়া সার্থক হোল ।
ধন্যবাদান্তে,
শাহা আলাম, তেজগাও, ঢাকা । তাং ২০/৫/২০২০
Email: atcdhaka@gmail.com

Comments

Popular posts from this blog

what is Nafs ? নাফস কি?

রাসুল সাঃ এর শীনা চাক আসলে কি ভাবে হয়েছিল? সুদুরে কি হয়?

Hayatunnabi