কল্ব - মস্তিস্ক - শয়তান
কল্ব - মস্তিস্ক - শয়তান
২:৯৭> সে (জিব্রাঈল) আল্লাহ্র ইচ্ছায় এই কোরআন তোমার কল্বে অবতীর্ন করিয়াছে............
অর্থাৎ কলব হচ্ছে মন, যেমন আমরা বলি মনে নেই, বা মনে আছে । যেখানে কোন বিষয় জমা থাকে । যখন খুশি বের করা যায় বা যায় না । এই যখন খুশিটা বা ইচ্ছাটা পরিপার্শ্বিক অবস্থার সাপেক্ষে কল্বের বুদ্ধিতে সাহায্য কারী এলেম, আকল আফ্যেদা, হাওয়া , সুদুর এরা কাজ করে মজবুত ভাবে ।
অর্থাৎ কলব হচ্ছে মন, যেমন আমরা বলি মনে নেই, বা মনে আছে । যেখানে কোন বিষয় জমা থাকে । যখন খুশি বের করা যায় বা যায় না । এই যখন খুশিটা বা ইচ্ছাটা পরিপার্শ্বিক অবস্থার সাপেক্ষে কল্বের বুদ্ধিতে সাহায্য কারী এলেম, আকল আফ্যেদা, হাওয়া , সুদুর এরা কাজ করে মজবুত ভাবে ।
এই এলেম বা জ্ঞ্যান এর স্নায়ুবিক যোগাযোগ মাথা বা মস্তিকের সাথে। অথাৎ মনজগতের সাথে স্নায়ুবিক বা ইন্দ্রিয় তথা মস্তিকের অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রয়েছে। যেমন মদ পান করে মাতাল হলে সে যে আচরন করে তা তার জ্ঞ্যান দ্বারা করে না, স্নায়ুবিক বা ইন্দ্রিয় তথা মস্তিকের শারীরিক অভিজ্ঞতা করতে থাকে, যে চিন্তা গুলো, কাজ গুলো সে আগে করেছে বা ভেবেছে । বলা যায়, মাথা বা মস্তিস্ক হোল কলব বা মনের কারখানা বা ফ্যাক্টরি । মন যা চাইবে কারখানা সাদ্ধ্যমত তাই বানাবে বা করবে ।
যেমন চোর চুরি করে ধরা পরে, কিন্তু পিটিয়ে মরনাপন্ন করলেও মনের দরজা খুলে না, বলে না । কারন সে বুঝতে পারে, বিভিন্ন ভাবে ভনিতা করে সময় পার করে কেউ না কেউ দয়া করে উদ্ধার করবে অথবা পুলিশ আসবে । পুলিশ যদি মনে করে চোর কে আর ছাড়া যায় না, তথ্য বের করতেই হবে তখন তাকে অবচেতন করে মাথা থেকে সব বলিয়ে নেয়া হয় । অর্থাৎ দেহজগতের সাথে মনজগতের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে ।
আল্লাহ বলেনঃ
১৭:৩৬> অনুমানে পরিচালিত হইও না যাতে তোমার জ্ঞ্যান নাই, (অর্থাৎ অন্দাজে বা ইচ্ছার বশবর্তী বা তাবেদারী করিও না- শয়তান কে সুযোগ দিও না, সে তোমার প্রকাশ্য শত্রু)কান, চোখ ও বুদ্ধিমত্তা (বুদ্ধির কারখানার সবাই , মালিকও) – এ সমুদয় হইতে কিয়ামত দিবসে বিচারে জিজ্ঞাসা করা হইবে ।
আল্লাহ বলেনঃ
১৭:৩৬> অনুমানে পরিচালিত হইও না যাতে তোমার জ্ঞ্যান নাই, (অর্থাৎ অন্দাজে বা ইচ্ছার বশবর্তী বা তাবেদারী করিও না- শয়তান কে সুযোগ দিও না, সে তোমার প্রকাশ্য শত্রু)কান, চোখ ও বুদ্ধিমত্তা (বুদ্ধির কারখানার সবাই , মালিকও) – এ সমুদয় হইতে কিয়ামত দিবসে বিচারে জিজ্ঞাসা করা হইবে ।
কুরআন মাজিদে কলব সংক্রান্ত আয়াত গুলো অনুধাবন করুন, নিজেরা কুরআন খুলে বা অনলাইনে দেখুন।
২:২২৫> [সংকল্প/প্রতীজ্ঞা করা হয় কলবে] যেগুলি তোমরা কলবে সংকল্প করেছো। ৪৭:২৪>কল্ব দিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করা> কল্বে আশা/ চক্রান্ত / বিদ্বেষ/ বা ভাল মন্দতে অবিচল থাকা সবই হয় কলবে । ৪৮:১১-১৪> মনের কথা / মুখের কথা, ভাল ধারনা, ভ্রান্ত ধারনা সবই হয় মনে। চালাকি করা , না করা, কাজ করা , না করা সবই মনে বা কলবে । ৫০:৩৩> যে অদৃশ্য রাহমান কে ভয় করে, আসে (ইবাদতে, তাওবায়) তাঁর কাছে বিনীত কলবে/ মনে/ চিত্তে (কাল্বে মুনিব) ৫০;৩৭> এতে আছে উপদেশ বিবেকবান, নিবিষ্ট চিত্ত, সবশুনে সাক্ষী দিতে পারে / পরে বলতে পারে কি শুনেছে এমন হৃদয়ের /মনের/ কল্বের শ্রোতাদের জন্য ।৬৪;১১> যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তার কলবে পথ দেখায়, ৬৪;১২> যে আল্লাহতে বিশ্বাসী তিনি পথ দেখান তার কলবে । ৫৮:২২> তাদের কলবে আল্লাহ মজবুত করিয়া দিয়ছেন ঈমান, ৫৯:২> আল্লাহ ওদের কলবে আতঙ্ক সৃষ্টি করিলেন , ৫৯;১০> ...এবং আমাদের কুলুবে মুমিনদের প্রতি হিংস উৎপাদন করিও না । ৫৯;১৪> কিন্তু ওদের (যারা আল্লাহকে মানে না) কুলুবের/ মনের মিল নাই / একজনের মনের সাথে অন্যজনের মনের মিল নাই ।
আয়াত গুলো থেকে যা পাওয়া যায়ঃ সংকল্প/প্রতীজ্ঞা, চিন্তা, আশা/ চক্রান্ত / বিদ্বেষ/মুখের কথা, ভাল ধারনা, ভ্রান্ত ধারনা, ভয়, মনবল, বিশ্বাস, অবিশ্বাস, আতংক, আন্তরিকতা, শত্রুতা সবই হয় মনে ।
২:২২৫> [সংকল্প/প্রতীজ্ঞা করা হয় কলবে] যেগুলি তোমরা কলবে সংকল্প করেছো। ৪৭:২৪>কল্ব দিয়ে গভীর ভাবে চিন্তা করা> কল্বে আশা/ চক্রান্ত / বিদ্বেষ/ বা ভাল মন্দতে অবিচল থাকা সবই হয় কলবে । ৪৮:১১-১৪> মনের কথা / মুখের কথা, ভাল ধারনা, ভ্রান্ত ধারনা সবই হয় মনে। চালাকি করা , না করা, কাজ করা , না করা সবই মনে বা কলবে । ৫০:৩৩> যে অদৃশ্য রাহমান কে ভয় করে, আসে (ইবাদতে, তাওবায়) তাঁর কাছে বিনীত কলবে/ মনে/ চিত্তে (কাল্বে মুনিব) ৫০;৩৭> এতে আছে উপদেশ বিবেকবান, নিবিষ্ট চিত্ত, সবশুনে সাক্ষী দিতে পারে / পরে বলতে পারে কি শুনেছে এমন হৃদয়ের /মনের/ কল্বের শ্রোতাদের জন্য ।৬৪;১১> যে আল্লাহকে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তার কলবে পথ দেখায়, ৬৪;১২> যে আল্লাহতে বিশ্বাসী তিনি পথ দেখান তার কলবে । ৫৮:২২> তাদের কলবে আল্লাহ মজবুত করিয়া দিয়ছেন ঈমান, ৫৯:২> আল্লাহ ওদের কলবে আতঙ্ক সৃষ্টি করিলেন , ৫৯;১০> ...এবং আমাদের কুলুবে মুমিনদের প্রতি হিংস উৎপাদন করিও না । ৫৯;১৪> কিন্তু ওদের (যারা আল্লাহকে মানে না) কুলুবের/ মনের মিল নাই / একজনের মনের সাথে অন্যজনের মনের মিল নাই ।
আয়াত গুলো থেকে যা পাওয়া যায়ঃ সংকল্প/প্রতীজ্ঞা, চিন্তা, আশা/ চক্রান্ত / বিদ্বেষ/মুখের কথা, ভাল ধারনা, ভ্রান্ত ধারনা, ভয়, মনবল, বিশ্বাস, অবিশ্বাস, আতংক, আন্তরিকতা, শত্রুতা সবই হয় মনে ।
দেহ ও কল্বের সম্পর্ক
৩৯ঃ২৩> আল্লাহ কিতাব রুপে নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস (বাণী), যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, পুনঃরাবৃতি করা হয়। এতে করে (এসব পড়ালেখা করে বুঝে) যারা তাদের রব্ব কে ভয় করে, তাদের দেহ পুলকিত হয়, (তাদের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে চামড়ার উপর), অতঃপর / ফলশ্রুতিতে তাদের চামড়া (দেহ) ও অন্তর/ কল্ব আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়, নরম (তালেনুন) হয় । এটাই আল্লাহর পথ নির্দেশ, এর মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।
৩৯ঃ২৩> আল্লাহ কিতাব রুপে নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস (বাণী), যা সামঞ্জস্যপূর্ণ, পুনঃরাবৃতি করা হয়। এতে করে (এসব পড়ালেখা করে বুঝে) যারা তাদের রব্ব কে ভয় করে, তাদের দেহ পুলকিত হয়, (তাদের লোম কাঁটা দিয়ে উঠে চামড়ার উপর), অতঃপর / ফলশ্রুতিতে তাদের চামড়া (দেহ) ও অন্তর/ কল্ব আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়, নরম (তালেনুন) হয় । এটাই আল্লাহর পথ নির্দেশ, এর মাধ্যমে আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করেন। আর আল্লাহ যাকে গোমরাহ করেন, তার কোন পথপ্রদর্শক নেই।
চরম তাপে যেমন লোহা নরম হয়, যে কথা উল্লেখ আছে সুরা সাবা ৩৪;১০> দাউদ আঃ এর সাথে পাহাড়, পাখিরা যেমন এক সাথে জিকির করে মিলিয়ে যায়, কমল হয়ে যায়, তেমনী পাহাড়ের চেয়েও শক্ত লোহা তার কথায় নরম হয়ে যায়, আগুন দরকার হয় না। এ সবই আল্লাহর অনুগ্রহ বা ফাজিলত ।
আল্লাহ বলেনঃ [২:৭৪] তাদের কারো কারো অন্তর পাথরের চেয়েও শক্ত । (লোহা নরম হয় তবুও মানুষের মন নরম হয় না, আমরা বলি পাষাণ হৃদয়)
আল্লাহ বলেনঃ [২:৭৪] তাদের কারো কারো অন্তর পাথরের চেয়েও শক্ত । (লোহা নরম হয় তবুও মানুষের মন নরম হয় না, আমরা বলি পাষাণ হৃদয়)
বাহ্যিক বা শারিরিক অবস্থানঃ হৃৎপিণ্ড (HEART)
মন বা কল্ব বা হৃদয় যেমন সারাক্ষন কিছু না কিছু ভাবে, একবার এটা মনে হয়, একটু পরেই ওটা । ঠিক আমাদের শরীরের হৃৎপিণ্ড যা সারাক্ষন নড়াচড়া করে। ভয়ের কিছু দেখলে বা শুনলে হৃৎপিণ্ড খুব জোরে নড়াচড়া করে, বুক ধরফর করে । জীবন ঘনিস্ট কোন দুঃসংবাদ শুনেই হৃৎপিণ্ড যেন বন্ধ হয়ে যায় ।যেমন প্রিয় ছেলের মৃত্যু সংবাদে পিতার হৃৎপিণ্ড চিরতরে বন্ধ হয়ে যায় । পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল শুনে মুখটা কালো হয়ে যায়, চোখে জল আসে । আবার ভাল সংবাদে মুখে মুক্ত ঝরে। এখানে শুনে, দেখে অনুধাবন করে কোন শারীরিক পরিশ্রম বা আঘাত লাগেনি কিন্ত শরীরের অন্তঃস্থ একটুকরো মাংসপিণ্ডের কম্পন বেড়ে গেছে বা শান্ত হয়েছে ।
ভাল কাজে মন খুশি বা প্রশান্তি পায় এটাই স্বাভাবিক ।এটাই রূহের জয় । কিন্ত যে কোন দিন পাপ বা অন্যায় করেনি, সে যখন কারো শয়তানি চক্রান্তে ফেসে পাপ বা খারাপ কাজ করে ফেলে তখন সে মনে কষ্ট বোধ করে । সে যদি নিতান্তই ভাল প্রকৃতির হয়, ভাল পরিবেশের হয় তবে সে অনুতপ্ত হয়, নিনে নিজে কান্না করে , আর পাপ কাজে শয়তানি ফাঁদে পা দেয় না। কিন্ত যে ছোট খাটো খারাপ কাজ , টুকিটাকি মিথ্যা কথায় অভ্যস্ত থেকে থাকে তবে তার মনও খারাপ হয় না, ফিরেও আসে না । ঐ কল্ব তখন শয়তানের ইচ্ছার অধীন হয়ে যায় ।
মন বা কল্ব বা হৃদয় যেমন সারাক্ষন কিছু না কিছু ভাবে, একবার এটা মনে হয়, একটু পরেই ওটা । ঠিক আমাদের শরীরের হৃৎপিণ্ড যা সারাক্ষন নড়াচড়া করে। ভয়ের কিছু দেখলে বা শুনলে হৃৎপিণ্ড খুব জোরে নড়াচড়া করে, বুক ধরফর করে । জীবন ঘনিস্ট কোন দুঃসংবাদ শুনেই হৃৎপিণ্ড যেন বন্ধ হয়ে যায় ।যেমন প্রিয় ছেলের মৃত্যু সংবাদে পিতার হৃৎপিণ্ড চিরতরে বন্ধ হয়ে যায় । পরীক্ষায় খারাপ ফলাফল শুনে মুখটা কালো হয়ে যায়, চোখে জল আসে । আবার ভাল সংবাদে মুখে মুক্ত ঝরে। এখানে শুনে, দেখে অনুধাবন করে কোন শারীরিক পরিশ্রম বা আঘাত লাগেনি কিন্ত শরীরের অন্তঃস্থ একটুকরো মাংসপিণ্ডের কম্পন বেড়ে গেছে বা শান্ত হয়েছে ।
ভাল কাজে মন খুশি বা প্রশান্তি পায় এটাই স্বাভাবিক ।এটাই রূহের জয় । কিন্ত যে কোন দিন পাপ বা অন্যায় করেনি, সে যখন কারো শয়তানি চক্রান্তে ফেসে পাপ বা খারাপ কাজ করে ফেলে তখন সে মনে কষ্ট বোধ করে । সে যদি নিতান্তই ভাল প্রকৃতির হয়, ভাল পরিবেশের হয় তবে সে অনুতপ্ত হয়, নিনে নিজে কান্না করে , আর পাপ কাজে শয়তানি ফাঁদে পা দেয় না। কিন্ত যে ছোট খাটো খারাপ কাজ , টুকিটাকি মিথ্যা কথায় অভ্যস্ত থেকে থাকে তবে তার মনও খারাপ হয় না, ফিরেও আসে না । ঐ কল্ব তখন শয়তানের ইচ্ছার অধীন হয়ে যায় ।
যাদের মন/ কলব দুর্বল (৩৩:১২) কলবে রোগ > অর্থাৎ ইমানী অসুখঃ আমাদের শরীরের যেমন রোগ প্রতিরোধ ব্যাবস্থা আছে, তেমনই মনের জগতেরও একটা প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা আছে ।এর নাম সুদুর । চোর, শয়তান বা ভাইরাস একই প্রকৃতির বিষয় যারা সব সময় চেষ্টা করে প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থাকে কি ভাবে ফাকি / ধোঁকা দেয়া যায় । মনের বিষয়ে ঈমান যার যত পাকা, তাঁর প্রতিরক্ষা ব্যাবস্থা তথা সুদুর তত পাকা / মজবুত । এই সুদুর দুর্বল হলে শয়তানের ফাঁদ বা ধোঁকায় পরে, বুদ্ধি বা জ্ঞ্যান লোপ পায়, আকল ব্যা-আকল হয়ে যায়, মনোযোগের অভাব হয়, মনও একটু নগদ পেতে চায় পাপ বা অন্যায় করে ফেলে ।
পাপা বা অন্যায় হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই যাদের তকদির ভাল ( তকদির/ ভাগ্য এর ভাল=মন্দ বিশ্বাস করা ঈমানের অংশ) তারা অনুতপ্ত হয়, মন খারাপ হয়, মনের আয়না মুখ ফ্যাকাশে বা কাল হয় , আমরা কথায় বলি কিরে মুখটা কাল করে আছিস কেন? মন খারাপ? মন ভাল করার বা শয়তানের সুরসুরি থেকে বাচার উপায়ঃ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে কান্না করা, যদি আপানার কান্না আসে তখন আপনি আল্লাহ কে আরও শুকরিয়া জানাবেন এই জন্য যে আপনার হার্ট/ হৃদয়/ কলব / মন নরম, আল্লাহ আপানার ক্ষমা কবুল করেছেন।
শয়তান থেকে মনকে দূরে রাখাঃ
শয়তান সদা সর্বদা মানুষের পিছনে লেগেই আছে, কারন সে জানে মানুষ অন্য মনস্ক হয়ে যায়, রেগে যায়, তাড়াহুড়া করে, দ্রুত অনেক কিছু পেতে চায় তাই সে এই সব সুযোগের অপেক্ষায় ওঁত পেতে থাকে। এজন্যই মনের শক্তি বা কল্বের সুরক্ষায় আফ্যেদা বা অতিরিক্ত বুদ্ধিমত্তা দিয়েছেন, যেন সঠিক সিদ্ধান্তে অটল থাকে । মনকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আল্লহর তোয়াক্কা বা ভরসা করতে হবে । আল্লাহকে সর্বদা স্বরন করতে হবে । মনে রাখতে হবে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ আমার সাথেই আছেন, যা কিছু ভাল মন্দ ঘটে আল্লাহর পক্ষ থেকেই । শয়তান আমাদের ভাল কাজে ভয়ের উদ্রেক করে আর মন্ধ কাজে সাথী হয়ে যায় । তাই আল্লাহর জিকির / স্বরন তথা ভাল – মন্ধ কাজের আগে একবার হলেও জ্ঞ্যান, আকল, বিবেক কাজে লাগান।
পাপা বা অন্যায় হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই যাদের তকদির ভাল ( তকদির/ ভাগ্য এর ভাল=মন্দ বিশ্বাস করা ঈমানের অংশ) তারা অনুতপ্ত হয়, মন খারাপ হয়, মনের আয়না মুখ ফ্যাকাশে বা কাল হয় , আমরা কথায় বলি কিরে মুখটা কাল করে আছিস কেন? মন খারাপ? মন ভাল করার বা শয়তানের সুরসুরি থেকে বাচার উপায়ঃ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে কান্না করা, যদি আপানার কান্না আসে তখন আপনি আল্লাহ কে আরও শুকরিয়া জানাবেন এই জন্য যে আপনার হার্ট/ হৃদয়/ কলব / মন নরম, আল্লাহ আপানার ক্ষমা কবুল করেছেন।
শয়তান থেকে মনকে দূরে রাখাঃ
শয়তান সদা সর্বদা মানুষের পিছনে লেগেই আছে, কারন সে জানে মানুষ অন্য মনস্ক হয়ে যায়, রেগে যায়, তাড়াহুড়া করে, দ্রুত অনেক কিছু পেতে চায় তাই সে এই সব সুযোগের অপেক্ষায় ওঁত পেতে থাকে। এজন্যই মনের শক্তি বা কল্বের সুরক্ষায় আফ্যেদা বা অতিরিক্ত বুদ্ধিমত্তা দিয়েছেন, যেন সঠিক সিদ্ধান্তে অটল থাকে । মনকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে আল্লহর তোয়াক্কা বা ভরসা করতে হবে । আল্লাহকে সর্বদা স্বরন করতে হবে । মনে রাখতে হবে সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ আমার সাথেই আছেন, যা কিছু ভাল মন্দ ঘটে আল্লাহর পক্ষ থেকেই । শয়তান আমাদের ভাল কাজে ভয়ের উদ্রেক করে আর মন্ধ কাজে সাথী হয়ে যায় । তাই আল্লাহর জিকির / স্বরন তথা ভাল – মন্ধ কাজের আগে একবার হলেও জ্ঞ্যান, আকল, বিবেক কাজে লাগান।
হে আল্লাহ আমাদেরকে সরল সঠিক পথের পথিক বানাও । সালাম ।
বিনীত, শাহা আলাম, তেজগাও , ঢাকা । ১০/১৩/২০২০
Comments
Post a Comment