সিয়াম নিয়ে কথা

 হে মু’মিনগণ! তোমাদের জন্য সিয়ামের বিধান দেওয়া হইল, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হইয়াছিল, যাহাতে তোমরা মুত্তাকী হইতে পার -

সূরা নম্বর: ২ আয়াত নম্বর: ১৮৩

নির্দিষ্ট কিছু দিন, রমজান মাস, তোমাদের যারা এই মাস পাইবে তারা এই মাসটি সিয়াম পালন করে। এর মধ্যে অসুখ হলে, কয়েকদিনের সফর হলে পরে মাসটির বাদপরা দিনগুলো পূরণ করে ইদ্দত বা সংখ্যা 29বা 30 পূরণ করবে ( ২:১৮৪,১৮৫ অবলম্বনে)



২:১৮৭ আয়াতে আছে মিনাল ফজর ইলাল লাইল । এর সোজা বাংলা হলো ফজর থেকে রাত পর্যন্ত। ধরুন, অফিস ৮টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। এখন কি আপনি প্রশ্ন করবেন ৫ টা ৫ না কি ৫টা ১০ পর্যন্ত? সবাই জানে সূর্য অস্ত গেলেই দিন শেষ, রাত শুরু।

(আল্লাহ্‌ই নির্ধারণ করেন দিবস ও রাত্রির পরিমাণ। তিনি জানেন যে, তোমরা ইহা পুরাপুরি পালন করিতে পারিবে না,)
সম্পূর্ণ আয়াত দেখুন:
তোমার প্রতিপালক তো জানেন যে, তুমি জাগরণ কর কখনও রাত্রির প্রায় দুই - তৃতীয়াংশ, কখনও অর্ধাংশ এবং কখনও এক - তৃতীয়াংশ এবং জাগে তোমার সঙ্গে যাহারা আছে তাহাদের একটি দলও এবং আল্লাহ্‌ই নির্ধারণ করেন দিবস ও রাত্রির পরিমাণ। তিনি জানেন যে, তোমরা ইহা পুরাপুরি পালন করিতে পারিবে না, অতএব আল্লাহ্‌ তোমাদের প্রতি ক্ষমাপরবশ হইয়াছেন। কাজেই কুরআনের যতটুকু আবৃত্তি করা তোমাদের জন্য সহজ, ততটুকু আবৃত্তি কর। আল্লাহ্‌ জানেন যে, তোমাদের মধ্যে কেহ কেহ অসুস্থ হইয়া পড়িবে, কেহ কেহ আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ সন্ধানে দেশ ভ্রমণ করিবে এবং কেহ কেহ আল্লাহ্‌র পথে সংগ্রামে লিপ্ত হইবে। কাজেই তোমরা কুরআন হইতে যতটুকু সহজসাধ্য আবৃত্তি কর। অতএব সালাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং আল্লাহ্‌কে দাও উত্তম ঋণ। তোমরা তোমাদের নিজেদের মঙ্গলের জন্য ভাল যাহা কিছু অগ্রিম প্রেরণ করিবে তাহা তোমরা পাইবে আল্লাহ্‌র নিকট। উহা উৎকৃষ্টতর এবং পুরস্কার হিসাবে মহত্তর। আর তোমরা ক্ষমা প্রার্থনা কর আল্লাহ্‌র নিকট; নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
اِنَّ رَبَّكَ يَعْلَمُ اَنَّكَ تَقُوْمُ اَدْنىٰ مِنْ ثُلُثَىِ الَّيْلِ وَ نِصْفَهٗ وَثُلُثَهٗ وَطَآٮِٕفَةٌ مِّنَ الَّذِيْنَ مَعَكَ‌ؕ وَاللّٰهُ يُقَدِّرُ الَّيْلَ وَالنَّهَارَ‌ؕ عَلِمَ اَنْ لَّنْ تُحْصُوْهُ فَتَابَ عَلَيْكُمْ‌ فَاقْرَءُوْا مَا تَيَسَّرَ مِنَ الْقُرْاٰنِ‌ؕ عَلِمَ اَنْ سَيَكُوْنُ مِنْكُمْ مَّرْضٰى‌ۙ وَاٰخَرُوْنَ يَضْرِبُوْنَ فِى الْاَرْضِ يَبْتَغُوْنَ مِنْ فَضْلِ اللّٰهِ‌ۙ وَاٰخَرُوْنَ يُقَاتِلُوْنَ فِىْ سَبِيْلِ اللّٰهِ ۖ فَاقْرَءُوْا مَا تَيَسَّرَ مِنْهُ‌ ۙ وَاَقِيْمُوا الصَّلٰوةَ وَاٰتُوا الزَّكٰوةَ وَاَقْرِضُوا اللّٰهَ قَرْضًا حَسَنًا‌ ؕ وَمَا تُقَدِّمُوْا لِاَنْفُسِكُمْ مِّنْ خَيْرٍ تَجِدُوْهُ عِنْدَ اللّٰهِ هُوَ خَيْرًا وَّاَعْظَمَ اَجْرًا‌ ؕ وَاسْتَغْفِرُوا اللّٰهَ ‌ؕ اِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ
সূরা নম্বর: ৭৩ আয়াত নম্বর: ২০

এই আয়াতই প্রমাণ করে সম্পূর্ণ রমজান মাস টির সবগুলো দিনেই সিয়াম পালন করতে হবে ।
রামাযান মাস, ইহাতে মানুষের দিশারী এবং সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হইয়াছে। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যাহারা এই মাস পাইবে তাহারা যেন এই মাসে সিয়াম পালন করে। এবং কেহ পীড়িত থাকিলে কিংবা সফরে থাকিলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূরণ করিবে। আল্লাহ্ তোমাদের জন্য যাহা সহজ তাহা চাহেন এবং যাহা তোমাদের জন্য কষ্টকর তাহা চাহেন না এইজন্য যে, তোমরা সংখ্যা পূর্ণ করিবে এবং তোমাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করিবার কারণে তোমরা আল্লাহ্‌র মহিমা ঘোষণা করিবে এবং যাহাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিতে পার।
شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِىْٓ اُنْزِلَ فِيْهِ الْقُرْاٰنُ هُدًى لِّلنَّاسِ وَ بَيِّنٰتٍ مِّنَ الْهُدٰى وَالْفُرْقَانِۚ فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَـصُمْهُ ؕ وَمَنْ کَانَ مَرِيْضًا اَوْ عَلٰى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِّنْ اَيَّامٍ اُخَرَؕ يُرِيْدُ اللّٰهُ بِکُمُ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيْدُ بِکُمُ الْعُسْرَ وَلِتُکْمِلُوا الْعِدَّةَ وَلِتُکَبِّرُوا اللّٰهَ عَلٰى مَا هَدٰٮكُمْ وَلَعَلَّکُمْ تَشْكُرُوْنَ
সূরা নম্বর: ২ আয়াত নম্বর: ১৮৫





 

Kazi Md Shameem

না জনাব, দিনের পরই রাত নয়!
৮৪: ১৬ আয়াতে আল্লাহ বলেন فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِالشَّفَقِ
আমি শপথ করি অস্তরাগের।
১৭ নম্বর আয়াতে বলেন وَ الَّیۡلِ وَ مَا وَسَقَ আর রাতের তাতে যা কিছুর সমাবেশ ঘটে তার।
অতএব, দিনের পরই রাত নয়। মাঝখানে পশ্চিমাকাশে লাল আভা প্রদর্শিত সময়টা অস্তরাগ(শাফাক্ক) এবং তারপর রাতের শুরু। ২:১৮৭তে বলা আছে "---আতিমুস সিয়ামা ইলাল লাইল"!
এবার বলেন বুখারীরা যে সময়ে ইফতার করাচ্ছে তা কি রাত??


Abdur Rahman

সুর্যাস্তের পরই যদি রাত হয়, তাহলে সন্ধ্যা শব্দটি কোথা থেকে এলো? সূর্যাস্তের পর রাত নয় বরং সন্ধ্যার পর রাত শুরু। বেশি বুঝতে বুঝতে ইসলামের এই অবস্থা।আর এভাবেই আমরা কোরআনকে পাশ কাটিয়ে লাহোয়াল হাদিসকে প্রাধান্য দিয়ে ইসলামের এবং নিজের বারটা বাজাচ্ছি।

Nasir Uddin Bin Harun

সবাই জানে সূর্যাস্ত গেলে সন্ধ্যা হয়। কেবল আপনিই জানেন রাত হয়...!! আপনার মনেহয় আরো জানার বাকী আছে জনাব।

Md Abdul Wares

সঠিক তথ্য । কুরআন অতি সহজ কিতাব, যা পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি নেই। কুরআনের আয়াত সোজা-সরল। বক্রতা নেই। মুত্তাকি ছাড়া কুরআন বুঝতে পাড়বে না। যদিও অনেকে জ্ঞানের ভান্ডারি হয়ে থাকেন। রাত-দিন বুঝতে পারে না জ্ঞান হীন জাতির জন্য আবসোস। অজ্ঞজন আমদানি তথ্যের বিশ্বাসী হয়। সিয়াম শেষের প্রান্ত নতুন আমদানি তথ্যের শ্রোষ্ঠা কে?

Nahid Hasan

সূর্য ডোবাই যদি উনার উদ্দেশ্য হতো তবে রাতের বদলে মাগরিব কেন বললেন না?


Alomgir Hossain

সন্ধ্যা বা সাঁঝ হচ্ছে সূর্যাস্তের ঠিক কয়েক মুহূর্ত পরে গোধূলির সময়ে রাতের ঠিক আগের অবস্থান। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায় সন্ধ্যা হচ্ছে সেই সময়টি যা ঠিক সূর্যাস্তের পর ও রাতের ঠিক আগে ঘটে। সন্ধ্যার মধ্যবর্তী পর্যায়ে আকাশ বেশ পরিষ্কার থাকে যখন কৃত্রিম আলোকসজ্জা ছাড়াই বাইরে পড়ার জন্য পর্যাপ্ত আলো থাকতে পারে।
ভাই একটু লেখাপড়া করে কমেন্টে আসেন। জ্যোতির্বিজ্ঞান কি বলে দেখেন। আপনার ওস্তাদরা তাড়াতাড়ি ইফতার করতে বলে কিন্তু ওর পরের হাদীস আর বলেনা ওরা মুয়াত্তা 624,625, এর রেফারেন্স দেয় কিন্তু 626 আর বলেনা তাহলেতো মাইর একটাও মাটীতে পড়বেনা কারন ওদের কথা শুনে মানুষ সন্ধ্যায় ইফতার করে রোজা নষ্ট করেছে এখন ওরাই যদি রাতে বলে তাহলেতো ধোলাই। ওরা দুনিয়া চায় আখেরাত চায়না। কিতাবুল মুয়াত্তা হাদীস নং- ৬২৪ রেওয়ায়ত ৬. সাহল ইবন সা’দ সাঈদী (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ সর্বদা লোক মঙ্গলের উপর থাকিবে যতদিন ইফতার সত্বর করিবে।
কিতাবুল মুয়াত্তা হাদীস নং" ৬২৫ রেওয়ায়ত ৭. সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (রহঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেনঃ মানুষ সর্বদা মঙ্গলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকিবে যতদিন ইফতার সত্বর করিবে।
কিতাবুল মুয়াত্তা হাদীস নং- ৬২৬ রেওয়ায়ত ৮. হুমায়দ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) হইতে বর্ণিত, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) এবং উসমান ইবন আফফান (রাঃ) উভয়ে মাগরিবের নামায পড়িতেন, এমন সময় তখন তাহারা রাত্রির অন্ধকার দেখিতে পাইতেন। (আর ইহা হইত) ইফতার করার পূর্বে। অতঃপর তাহারা (উভয়ে) ইফতার করিতেন। আর ইহা হইত রমযান মাসে।
কোরআন হাদীস জ্যোতির্বিজ্ঞান বলে ইফতার রাতে আপনি ও আপনার মোল্লারা বলে সন্ধ্যায় এখন কোনটা মানবেন নিজেকেই প্রশ্ন করেন।

Raju Ahmed Bashir

রাতের সম্পর্ক আধারের সাথে আর দিনের সম্পর্ক আলোর সাথে |

কঠিন সত্য

ভাই সূর্য অস্ত গেলেই যদি রাত হয়ে তবে সন্ধ্যা কোথায় গেল?

কুরআন এমন যেমন আপনি আমি কথা বললে বুঝি । কোন জটিলতা নাই । ধন্যবাদ । যেমন ওদের বন্ধি করে রাখো যেন কুরআন শুনতে পায় । যেহেতু ওদের ভাষা তাই শুনলেই মেসেজটা পেয়ে যেত, যে এগুলো তো আমাদের মুহাম্মদের কথা নয় । নিশ্চয়ই ইহা কুরআন ।


Comments

Popular posts from this blog

what is Nafs ? নাফস কি?

দুই ঈদের আনুষ্ঠানিকতা

রাসুল সাঃ এর শীনা চাক আসলে কি ভাবে হয়েছিল? সুদুরে কি হয়?