কুরানের বানী

 সত্য প্রচারে আপনাকে কিসে বাধা দেয়? যখন আল্লাহ্ রিজিকের মালিক, উত্তম রিযিক দাতা । মানুষদেরকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দিতে থাকুন । (২৩:৭২,৭৩ অবলম্বনে)..

আপনার ধন -সম্পদ ( শিক্ষা/ চাকুরি ), প্রভাব- প্রতিপত্তি (সন্তান/ বাড়ি গাড়ি) কোনই কাজে আসবে না, যদি না আপনি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনেন, গরীব দুঃখীদের জন্য সম্পদ খরচ না করেন ।(৬৯:২৫-৩৭ দেখুন)


কেহই জানে না আগামীকাল সে কি অর্জন করিবে।
কুরআনের আয়াত:
৩১:৩৪ اِنَّ اللّٰهَ عِنۡدَهٗ عِلۡمُ السَّاعَۃِ ۚ وَ یُنَزِّلُ الۡغَیۡثَ ۚ وَ یَعۡلَمُ مَا فِی الۡاَرۡحَامِ ؕ وَ مَا تَدۡرِیۡ نَفۡسٌ مَّاذَا تَكۡسِبُ غَدًا ؕ وَ مَا تَدۡرِیۡ نَفۡسٌۢ بِاَیِّ اَرۡضٍ تَمُوۡتُ ؕ اِنَّ اللّٰهَ عَلِیۡمٌ خَبِیۡرٌ ﴿۳۴﴾ان الله عندهٗ علم الساعۃ و ینزل الغیث و یعلم ما فی الارحام و ما تدری نفس ماذا تكسب غدا و ما تدری نفس بای ارض تموت ان الله علیم خبیر ﴿۳۴﴾
নিশ্চয় আল্লাহর নিকট কিয়ামতের জ্ঞান রয়েছে। আর তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং জরায়ূতে যা আছে, তা তিনি জানেন। আর কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন্ স্থানে সে মারা যাবে। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সম্যক অবহিত। (আল-বায়ান এর অনুবাদ)

হে ঈমানদারগণ, তোমরা সেই সম্প্রদায়ের সাথে বন্ধুত্ব করো না, যাদের প্রতি আল্লাহ রাগান্বিত হয়েছেন। তারা তো আখিরাত সম্পর্কে নিরাশ হয়ে পড়েছে, যেমনিভাবে কাফিররা কবরবাসীদের সম্পর্কে নিরাশ হয়েছে। (৬০:১৩)

বল, ‘ইহাই আমার পথ : আল্লাহ্‌র প্রতি মানুষকে আমি আহ্বান করি সজ্ঞানে - আমি এবং আমার অনুসারিগণও। আল্লাহ্‌ মহিমান্বিত এবং যাহারা আল্লাহ্‌র শরীক করে আমি তাহাদের অন্তর্ভুক্ত নই।’
قُلْ هٰذِهٖ سَبِيْلِىْۤ اَدْعُوْۤا اِلَى اللّٰهِ ‌ؔعَلٰى بَصِيْرَةٍ اَنَا وَمَنِ اتَّبَعَنِىْ‌ؕ وَسُبْحٰنَ اللّٰهِ وَمَاۤ اَنَا مِنَ الْمُشْرِكِيْنَ

সূরা নম্বর: ১২ আয়াত নম্বর: ১০৮
ধর্মের বিষয়ে কোন জোড় - জবরদস্তি নাই; সত্য পথকে ভ্রান্ত পথ হইতে সুস্পষ্ট করা হইয়াছে মাত্র । যে তাগূতকে (আল্লাহ্ ব্যতীত সকল উপাস্য) অস্বীকার করিবে ও আল্লাহ্‌র উপর ঈমান আনিবে সে এমন এক মযবূত হাতল ধরিবে যাহা কখনও ভাঙ্গিবে না। আল্লাহ্‌ সর্বশ্রোতা, প্রজ্ঞাময়।
لَاۤ اِكْرَاهَ فِى الدِّيْنِ‌ۙ  قَدْ تَّبَيَّنَ الرُّشْدُ مِنَ الْغَىِّ‌ۚ فَمَنْ يَّكْفُرْ بِالطَّاغُوْتِ وَيُؤْمِنْۢ بِاللّٰهِ فَقَدِ اسْتَمْسَكَ بِالْعُرْوَةِ الْوُثْقٰى لَا انْفِصَامَ لَهَا‌‌ ؕ وَاللّٰهُ سَمِيْعٌ عَلِيْمٌ

সূরা নম্বর: ২ আয়াত নম্বর: ২৫৬
যে সকল মুমিনদের আল্লাহ্ শুভ সংবাদ দিয়েছেন, তাঁরা কারা : আল্লাহ্ বলেন:-
যারা তওবাকারী, ‘ইবাদতকারী, আল্লাহ্‌র প্রশংসাকারী, সিয়াম পালনকারী, রুকূ‘কারী, সিজ্‌দাকারী, সৎকাজের নির্দেশদাতা, অসৎকাজে নিষেধকারী এবং আল্লাহ্‌র নির্ধারিত সীমারেখা সংরক্ষণকারী; সুতরাং এই মু’মিনদেরকে তুমি শুভ সংবাদ দাও।
اَلتَّاۤٮِٕبُوْنَ الْعٰبِدُوْنَ الْحٰمِدُوْنَ السّاۤٮِٕحُوْنَ الرّٰكِعُوْنَ السّٰجِدُوْنَ الْاٰمِرُوْنَ بِالْمَعْرُوْفِ وَالنَّاهُوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَالْحٰــفِظُوْنَ لِحُدُوْدِ اللّٰه ِ‌ؕ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِيْنَ

সূরা নম্বর: ৯ আয়াত নম্বর: ১১২

“তোমাদের উপর ফরয করা হয়েছে যে, যখন তোমাদের কারো মৃত্যু উপস্থিত হবে, যদি সে কোনো সম্পদ রেখে যায়, তবে তা অসিয়ত করবে।”
[২: ১৮০ অবলম্বনে]


হে ঈমানদারগণ, তোমরা সেই সম্প্রদায়ের সাথে বন্ধুত্ব করো না, যাদের প্রতি আল্লাহ রাগান্বিত হয়েছেন। তারা তো আখিরাত সম্পর্কে নিরাশ হয়ে পড়েছে, যেমনিভাবে কাফিররা কবরবাসীদের সম্পর্কে নিরাশ হয়েছে। (৬০:১৩)

মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট কুরআন নাযিলের উল্লেখ্য ২টি কারণ:

আমি তো তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিয়াছি যাহারা এ বিষয়ে মতভেদ করে তাহাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝাইয়া দিবার জন্য এবং মু’মিনদের জন্য পথনির্দেশ ও দয়াস্বরূপ।
وَمَاۤ اَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْـكِتٰبَ اِلَّا لِتُبَيِّنَ لَهُمُ الَّذِى اخْتَلَـفُوْا فِيْهِ‌ۙ وَهُدًى وَّرَحْمَةً لِّـقَوْمٍ يُّؤْمِنُوْنَ
সূরা নম্বর: ১৬ আয়াত নম্বর: ৬৪
সেই দিন আমি উত্থিত করিব প্রত্যেক সম্প্রদায়ে তাহাদেরই মধ্য হইতে তাহাদের বিষয়ে এক একজন সাক্ষী এবং তোমাকে আমি আনিব সাক্ষীরূপে ইহাদের বিষয়ে। আমি আত্মাসমপর্ণকারীদের জন্য প্রত্যেক বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ, পথনির্দেশ, দয়া ও সুসংবাদস্বরূপ তোমার প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করিলাম।
وَيَوْمَ نَـبْعَثُ فِىْ كُلِّ اُمَّةٍ شَهِيْدًا عَلَيْهِمْ مِّنْ اَنْفُسِهِمْ‌ وَجِئْنَا بِكَ شَهِيْدًا عَلٰى هٰٓؤُلَاۤءِ ‌ؕ وَنَزَّلْنَا عَلَيْكَ الْـكِتٰبَ تِبْيَانًا لِّـكُلِّ شَىْءٍ وَّ هُدًى وَّرَحْمَةً وَّبُشْرٰى لِلْمُسْلِمِيْنَ

সূরা নম্বর: ১৬ আয়াত নম্বর: ৮৯

যে ব্যক্তি লোক দেখানো এবং নিজেকে জাহির করার জন্য দান করে, তার সেই উদ্দেশ্য সফল হয় ঠিকই, কিন্ত প্রকৃত দান/ছদকা হয়না । মূলতঃ ইহা কাফেরের বৈশিষ্ট্য । (২:২৬৪ অবলম্বনে)

হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহে, তাঁহার রাসূলে, তিনি যে কিতাব তাঁহার রাসূলের প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহাতে এবং যে কিতাব তিনি পূর্বে অবতীর্ণ করিয়াছেন তাহাতে ঈমান আন। এবং কেহ আল্লাহ্‌, তাঁহার ফিরিশ্‌তাগণ, তাঁহার কিতাবসমূহ, তাঁহার রাসূলগণ এবং আখিরাতকে প্রত্যাখ্যান করিলে সে তো ভীষণভাবে পথভ্রষ্ট হইয়া পড়িবে।
يٰۤاَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْۤا اٰمِنُوْا بِاللّٰهِ وَرَسُوْلِهٖ وَالْكِتٰبِ الَّذِىْ نَزَّلَ عَلٰى رَسُوْلِهٖ وَالْكِتٰبِ الَّذِىْۤ اَنْزَلَ مِنْ قَبْلُ‌ؕ وَمَنْ يَّكْفُرْ بِاللّٰهِ وَمَلٰٓٮِٕكَتِهٖ وَكُتُبِهٖ وَرُسُلِهٖ وَالْيَوْمِ الْاٰخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلٰلًاۢ بَعِيْدًا
সূরা নম্বর: ৪ আয়াত নম্বর: ১৩৬

(এই ধরনের ঈমানের আয়াতগুলোর জবাব কি ভাবে আল্লাহর নিকট নিজের মত করে সাজিয়ে বলতে হবে তার জন্যই ইমাম আবু হানিফা ঈমানের কথা গুলোকে সাজিয়েছেন। অর্থ সহ দেখুন, আর কুরআনে ঈমান আনার আয়াত গুলো দেখুন) ।

মিসরের আলেম ও ইসলামি মুবাল্লিগ মুহাম্মদ ওয়াহদান একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআনে কারিমের এমন বিস্ময়কর ও রহস্য সম্পর্কে জানান।
তিনি বলেন, কোরআনের ৪৮ নম্বর সূরা, সূরা ফাতহের ২৯ নম্বর আয়তে আরবি ভাষার ২৯টি বর্ণমালাই উল্লেখিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে তিনি সূরা ফাতহের ২৯ নম্বর আয়াতটি তেলাওয়াত করে শোনান।
আয়াতটি হলো-
مُّحَمَّدٌ رَّسُولُ اللَّهِ وَالَّذِينَ مَعَهُ أَشِدَّاء عَلَى الْكُفَّارِ رُحَمَاء بَيْنَهُمْ تَرَاهُمْ رُكَّعًا سُجَّدًا يَبْتَغُونَ فَضْلًا مِّنَ اللَّهِ وَرِضْوَانًا سِيمَاهُمْ فِي وُجُوهِهِم مِّنْ أَثَرِ السُّجُودِ ذَلِكَ مَثَلُهُمْ فِي التَّوْرَاةِ وَمَثَلُهُمْ فِي الْإِنجِيلِ كَزَرْعٍ أَخْرَجَ شَطْأَهُ فَآزَرَهُ فَاسْتَغْلَظَ فَاسْتَوَى عَلَى سُوقِهِ يُعْجِبُ الزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ الْكُفَّارَ وَعَدَ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ مِنْهُم مَّغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا
অর্থ : মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসূল এবং তার সহচরগণ (সাহাবি) কাফেরদের প্রতি কঠোর, নিজেদের মধ্যে পরস্পর সহানুভূতিশীল। আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় আপনি তাদেরকে রুকু ও সেজদারত দেখবেন।
তাদের মুখমণ্ডলে রয়েছে সেজদার চিহ্ন। তাওরাতে তাদের অবস্থা এরূপ এবং ইঞ্জিলে তাদের অবস্থা যেমন একটি চারা গাছ যা থেকে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর তা শক্ত ও মজবুত হয় এবং কাণ্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে।
চাষীকে আনন্দে অভিভূত করে। যাতে আল্লাহ তাদের দ্বারা কাফেরদের মনের জ্বালা সৃষ্টি করেন। তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের ওয়াদা দিয়েছেন।
মুহাম্মদ ওয়াহদান বিষয়টি সামনে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার বক্তব্যের সত্যতা প্রমাণ পাওয়া গেছে। দেখা গেছে, বাস্তবিক অর্থেই এই আয়াতে আরবি সব বর্ণ রয়েছে।
মুহাম্মদ ওয়াহদান মিসরের টেলিভিশন চ্যানেল আল আসিমার মিনহাজুল হায়াত নামক অনুষ্ঠানে আরও বলেন, পবিত্র কোরআনে কারিমের অনেক বিস্ময় ও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। এগুলোর সামান্যই মানুষ বুঝতে সক্ষম। কোরআনের বিস্ময় ও রহস্য কখনোই শেষ হবে না, কিয়ামত পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে । (অনলাইন থেকে সংগৃহীত)

Comments

Popular posts from this blog

what is Nafs ? নাফস কি?

দুই ঈদের আনুষ্ঠানিকতা

রাসুল সাঃ এর শীনা চাক আসলে কি ভাবে হয়েছিল? সুদুরে কি হয়?