Posts

সালাম নিয়ে কথা

 وَ السَّلٰمُ عَلٰى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدٰى আসসালামু আলা মানেত্তাবা আল হুদা এবং শান্তি তাহাদের প্রতি যাহারা অনুসরণ করে সৎপথ। সম্পূর্ণ আয়াত দেখুন: সুতরাং তোমরা তাহার নিকট যাও এবং বল, ‘আমরা তোমার প্রতিপালকের রাসূল, সুতরাং আমাদের সঙ্গে বনী ইস্‌রাঈলকে যাইতে দাও এবং তাহাদেরকে কষ্ট দিও না, আমরা তো তোমার নিকট আনিয়াছি তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে নিদর্শন এবং শান্তি তাহাদের প্রতি যাহারা অনুসরণ করে সৎপথ। فَاْتِيٰهُ فَقُوْلَاۤ اِنَّا رَسُوْلَا رَبِّكَ فَاَرْسِلْ مَعَنَا بَنِىْۤ اِسْرَآءِيْلَ ۙ وَلَا تُعَذِّبْهُمْ‌ ؕ قَدْ جِئْنٰكَ بِاٰيَةٍ مِّنْ رَّبِّكَ‌ ؕ وَالسَّلٰمُ عَلٰى مَنِ اتَّبَعَ الْهُدٰى সূরা নম্বর: ২০ আয়াত নম্বর: ৪৭ আরেকটি আয়াত দেখুন আসসালামু এই কথা যুক্ত দোয়ার ব্যবহার - وَ السَّلٰمُ عَلَىَّ আসসালামু আলাইয়া  আমার নিজের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক ‘আমার প্রতি শান্তি যেদিন আমি জন্মলাভ করিয়াছি, যেদিন আমার মৃত্যু হইবে এবং যেদিন জীবিত অবস্থায় আমি উত্থিত হইব।’ وَالسَّلٰمُ عَلَىَّ يَوْمَ وُلِدْتُّ وَيَوْمَ اَمُوْتُ وَيَوْمَ اُبْعَثُ حَيًّا সূরা নম্বর: ১৯ আয়াত নম্বর: ৩৩ এবার দেখুন :...

ইবাদত

 পাঠ ১ ইবাদত ইবাদত আরবি শব্দ । এর অর্থ হলো চূড়ান্তভাবে দীনতা-হীনতা ও বিনয় প্রকাশ করা এবং নমনীয় হওয়া । আর ইসলামি পরিভাষায় দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজ-কর্মে আল্লাহ তায়ালার        মেনে চলাকে ইবাদত বলা হয় । আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টি করে এ পৃথিবীতে সহজভাবে জীবনযাপন করার জন্য অসংখ্য নিয়ামত দান করেছেন । আমরা আল্লাহর বান্দা। তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করা আমাদের অবশ্য কর্তব্য । আল্লাহ তায়ালা আমাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলেছেন, وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنْسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ  অর্থ : “জিন ও মানবজাতিকে আমি (আল্লাহ) আমার ইবাদতের জন্যই সৃষ্টি করেছি ।” (সূরা আয্-যারিয়াত, আয়াত ৫৬) আমরা পৃথিবীতে যত ইবাদতই করি না কেন, সকল ইবাদতের মূল উদ্দেশ্যই হলো মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা । আর এ ইবাদত একনিষ্ঠভাবে আল্লাহর জন্য না হলে আল্লাহ তা কবুল করবেন না । আল্লাহ তায়ালা বলেন- “তারাতো আদিষ্ট হয়েছিল আল্লাহর আনুগত্যে বিশুদ্ধ চিত্ত হয়ে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদত করতে ।” (সূরা আল-বাইয়্যিনা, আয়াত ০৫) কীভাবে ইবাদত করলে ও জীবনযাপন করলে আল্লাহ তায়ালা সন...

বাংলা ভাষায় ফারসির এত প্রভাব কেন

  বাংলা ভাষায় ফারসির এত প্রভাব কেন, এলো কীভাবে? Copy from ঢাকা মেইল ডেস্ক  প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৪ এএম অন্য ভাষা থেকে বাংলায় মিশে যাওয়া ভাষার মধ্যে ফারসি অন্যতম। বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ভাষা থেকে বাংলায় মেশা শব্দগুলোর কারণে একে ‘মিশ্র ভাষা’ও বলা হয়। পাঠ্যবইয়ের বদৌলতে এ কথা সবারই কমবেশি জানা। ভাষাবিদদের মতে— বাংলা দীর্ঘদিন মুসলিম শাসনের অধীনে ছিল। যখন দাফতরিক ও সাহিত্যকর্মে ফারসির ব্যবহার হতো। সে সময় বিপুল পরিমাণ ফারসি শব্দ বাংলায় প্রবেশ করেছে।  ‘বাংলায় ফারসির আধিপত্য’ ‘বাঙ্গালা ভাষার ইতিবৃত্ত’— ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ প্রথমবার তার এই বইয়ে দাবি করেন, বাংলায় সবচেয়ে বেশি আছে ফারসি ভাষার শব্দ। ১৯৬৫ সালে বাংলা একাডেমি থেকে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর বইটি প্রকাশিত হয়। বইটির ‘বৈদেশিক প্রভাব’ পরিচ্ছদে তিনি লিখেছেন, সম্রাট আকবরের কালে বাঙ্গালা দেশ মোগল সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। এই সময়ে রাজসরকারের ভাষা ফারসি ছিল। এই ফারসি প্রভাব লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের আমল পর্যন্ত ছিল... এই দীর্ঘ ৬০০ বছরের মুসলমান প্রভাবের ফলে বাঙ্গালা ভাষায় দুই সহস্রের অধিক ফারসি শব্দ এবং ফারসির মাধ্যমে ...